সেবা ডেস্ক: জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার বগারচর ইউনিয়নের ধারারচর নয়াগ্রামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে বিদ্রুপ করে নির্যাতন করার ঘটনার প্রতিবাদ করায় স্থানীয় নিরীহ ব্যক্তির হাতের আঙ্গুল কেটে দিয়েছে প্রভাবশালীরা।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়েছে। বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ খবর পেয়ে অভিযুক্তদের একজন নূর ইসলামকে (৪০) গ্রেপ্তার করেছে।
ভুক্তভোগী আব্দুস ছামাদ জানান, ২৪ অক্টোবর দুপুরে তার নিকট আত্মীয় বিপ্লব মিয়া (১৭) নামে এক মানসিক প্রতিবন্ধীকে বিদ্রুপ করে শারীরিকভাবে নির্যাতন করেন ধারারচর নয়াপাড়া গ্রামের মজিবর রহমানের ছেলে জিয়া মিয়া (৩৫)।
প্রতিবন্ধীকে নির্যাতনের ঘটনায় একই গ্রামের মকবুল হোসেনের ছেলে আব্দুস ছামাদ ও তার চাচা সরু মিয়া এর প্রতিবাদ জানালে তাদের উপর ক্ষিপ্ত হয় প্রভাবশালী নূর ইসলাম, জিয়া মিয়া, অমিল হক, আলী হোসেন, রুহুল আমিন ও তাদের লোকজন আব্দুস ছামাদের চাচা সরু মিয়া অভিযুক্তদের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় তারা সরু মিয়ার পথ রোধ করে হামলা চালায়। এ সময় সরু মিয়ার ডাকচিৎকারে আব্দুস ছামাদ এগিয়ে আসলে রাম দা দিয়ে আব্দুস ছামাদের দুটি আঙ্গুল কেটে দেয়। একই সময় সরু মিয়ারও দুটি আঙ্গুল কেটে নেওয়ার চেষ্টা করে প্রভাবশালীরা।
এ নিয়ে হুড়োহুড়ি শুরু হলে স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে তাদের উপরও হামলা চালায় ওই প্রভাবশালীরা।
ওই হামলায় ছাদেক আলীর ছেলে আমিনুল ইসলাম, তোতা মিয়ার ছেলে আক্কাছ আলী আহত হয়। এদের মধ্যে আব্দুস ছামাদ (৩৫) ও সরু মিয়াকে (৪৫) বকশীগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আঙ্গুল কেটে দেওয়ার ঘটনার খবর পেয়ে সন্ধ্যায় বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ ওই গ্রামের অভিযুক্ত মৃত জমশের আলীর ছেলে নূর ইসলামকে গ্রেপ্তার করেছে।
প্রতিবন্ধীকে নির্যাতন ও আঙ্গুল কেটে দেওয়ার ঘটনায় ভুক্তভোগী আব্দুস ছামাদ বাদী হয়ে ৯ জনকে আসামি করে বকশীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন।
বকশীগঞ্জ থানার উপপদির্শক ও তদন্ত কর্মকর্তা আবদুল আজিজ জানান, গ্রেপ্তারের পর ২৬ অক্টোবর দুপুরে আসামি নূর ইসলামকে জামালপুর আদালতে পাঠানো হয়েছে। বাকি অভিযুক্তদেরকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।