মুক্তি পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘একজন মহান পিতা’

S M Ashraful Azom
0
মুক্তি পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘একজন মহান পিতা’
মুক্তি পাচ্ছে মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘একজন মহান পিতা’

আবদুল জলিল:  সাহিত্য শিল্প সংস্কৃতি ঋদ্ধ সৃজনশীল মানবিক বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ে বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট দেশব্যাপী যে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন তারই ধারাবাহিকতায় নির্মিত হয়েছে ‘ একজন মহান পিতা।’ মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের পরিচালনায় এই ছবির কাজ প্রায় শেষ পর্যায়ে। 
আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই মুক্তি পেতে পারে
জানা গেছে, আগামী ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহেই মুক্তি পেতে পারে। ছবিতে মহান মুক্তিযুদ্ধ এবং এই যুদ্ধের ডাক দেয়া সাত মার্চের ভাষণ, পাক বাহিনীর নির্মমতা, মা-বোনদের উপর নির্যাতন এবং যুদ্ধ পরবর্তি বাংলাদেশে নির্যাতিতাদের বঙ্গবন্ধু কিভাবে সম্মানিত করেছেন, দিয়েছেন বীরাঙ্গনা নাম এসব বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। গ্রাম বাংলার সাধারণ মানুষের প্রেম-ভালোবাসা, সুখ-দুঃখ, পরস্পরের প্রতি সহমর্মিতা, বিপদে একত্রিত হয়ে ঘুরে দাঁড়াবার প্রত্যয়, মহান পিতা বঙ্গবন্ধুর আহবানে সাড়া দেবার কথা সবই রয়েছে। হৃদয় বিদারক মুক্তিযুদ্ধের একটি অধ্যায়কে কাহিনীকার ও পরিচালক মির্জা সাখাওয়াত হোসেন একঝাঁক তরুনকে নিয়ে নির্মাণ করেছেন এই চলচ্চিত্রটি। 
“জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে "একজন মহান পিতা "
“জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে "একজন মহান পিতা "

নির্মাণ প্রসঙ্গে পরিচালক নিজে তার ফেসবুক পেজে লিখেছেন “জাতির পিতার জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে "একজন মহান পিতা " চলচ্চিত্রটি খুব কম সময়ে শুটিং শেষ করেছি। এখানে যারা পার্ফর্মেন্স করেছেন তারা অধিকাংশ অপেশাদার হলেও অত্যন্ত আন্তরিকতা ও দক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছেন। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সীমাহীন উদারতার একটি বিষয়কে উপজীব্য করে এই গল্পটি লিখেছিলাম বেশ ক'বছর আগে। ২০১৬ সালে এই গল্প নিয়ে একটি বেতার নাটকও করেছিলাম। নাটকটি বাংলাদেশ বেতার ঢাকা কেন্দ্র থেকে স¤প্রচার হয়েছিল। সেই গল্পটি ভেঙে আরও জীবন্ত করে তোলার চেষ্টা করেছি। আর এটির বাস্তবরূপ দেবার জন্য এগিয়ে আসেন বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট এর সভাপতি শেখ শাহ আলম। এই চলচ্চিত্রের গল্পটি আমাদের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের একটি হৃদয়বিদারক অধ্যায়। যুদ্ধ পরবর্তী বাংলার বীরাঙ্গনা মায়েদের জীবনের একটি মর্মান্তিক ইতিহাস তুলে ধরার চেষ্টা করা হয়েছে।”

একেবারে অপেশাদারদের ভিড়ে কয়টি মাত্র পরিচিত মুখ। কিন্তু তাতে কি! নতুনদেরকে পরিচালক তার ইচ্ছেমতো ভেঙে যোগ করেছেন অভিনয়ে নতুন মাত্রা।  এতে প্রধান দুটি চরিত্রে অভিনয় করেছেন হিমেল রাজ ও মির্জা আফরিন। পরিচালক নিজেও আবহমান বাংলার চিরায়ত রূপের মুখচ্ছবি বাউল এর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন। বীরাঙ্গনার পিতার ভূমিকায় ছবির প্রযোজক শেখ শাহ আলম নিজেই ক্যামেরারর সামনে দাঁড়িয়ে গেছেন। এক সময়ের মঞ্চ নাটক ও যাত্রা শিল্পী শেখ শাহ আলম ভালোভাবেই উতরে গেছেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক স্বয়ং। অভিনয়ে রয়েছেন রাশেদ রেহমান, রাজিব, সৃষ্টি মির্জা, আলভী সরকার, রিনা, সাগরিকা মন্ডল, রাকিব হোসেন,  খোকন, এস বিজয়, চান মিয়া শিকদার প্রমূখ। 
সম্পাদনা করেছেন তারিক খান, শব্দ গ্রহণ মোস্তফা, চিত্র গ্রহণ  করেছেন সৈয়দ রাশিদুল হাসান
সম্পাদনা করেছেন তারিক খান, শব্দ গ্রহণ মোস্তফা, চিত্র গ্রহণ  করেছেন সৈয়দ রাশিদুল হাসান

ছবির সহকারি পরিচালক হিসেবে কাজ করেছেন ফিল্ম এন্ড টেলিভিশন ফোরামের সহকারি পরিচালক রাশেদুল ইসলাম রাজিব ও রাশেদ রেহমান। সম্পাদনা করেছেন তারিক খান, শব্দ গ্রহণ মোস্তফা, চিত্র গ্রহণ  করেছেন সৈয়দ রাশিদুল হাসান।  

 বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট নিবেদিত বঙ্গবন্ধুর জন্ম শতবার্ষিকীতে এই ছবির  প্রযোজক বিশিষ্ট গীতিকার ও সুরকার শেখ শাহ আলমের তিনটি গান এই চলচ্চিত্রে রয়েছে। ছবির শুটিং হয়েছে দেশের নানা স্থানে। সম্পাদনা করেছেন তারিক খান, শব্দ গ্রহণ মোস্তফা, চিত্র গ্রহণ  করেছেন সৈয়দ রাশিদুল হাসান
 

প্রযোজনা এবং নির্মাণ সম্পর্কে শেখ শাহ আলম বলেন, ‘ বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা বিনির্মাণে সুস্থ্যধারার সংস্কৃতির কোন বিকল্প নেই। দেশের যুব সমাজ আজ নাটক, সিনেমা, গান, কবিতা থেকে দূরে সরে যাচ্ছে। মরণ নেশা এখন মারণাস্ত্র  হয়ে নিরবে ঘায়েল করছে যুব শক্তিকে। এসব থেকে বাঁচার জন্যে যে পদক্ষেপগুলো নেয়া যেতে পারে তার জরুরি একটি হচ্ছে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা সমৃদ্ধ পরিবেশনা। আর সেটি যদি হয় চলচ্চিত্র তাহলে যুব সমাজকে সঠিক পথে টানতে তার ভূমিকা অনস্বীকার্য। অনেকটা ঝুঁকি নিয়েই এই স্পর্ধিত প্রয়াসকে আলোর মুখ দেখাতে সাথে পেয়েছি মির্জা সাখাওয়াত হোসেনের মতো গুণী পরিচালককে। 
সম্পাদনা করেছেন তারিক খান, শব্দ গ্রহণ মোস্তফা, চিত্র গ্রহণ  করেছেন সৈয়দ রাশিদুল হাসান
 ছবির গল্প সম্পর্কে শেখ শাহ আলম বলেন, ‘মির্জা ভাইয়ের গল্পটি আমাকে অনুপ্রাণিত করেছে। এই ছবিটি নির্মাণের মাধ্যমে দেশের অগনিত বীরাঙ্গনাদের সম্পর্কে বঙ্গবন্ধুর এক আকাশ উদারতার দৃষ্টান্ত তরুণ প্রজন্মকে আন্দোলিত করুক এই চাওয়া থেকেই প্রযোজনায় নেমেছি। নিজের অভিনয় সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘ মঞ্চে নাটক, যাত্রা অনেক করেছি। ভাবলাম ক্যামেরার সামনে দাঁড়িয়ে  ইতিহাসের সাথে নিজেকে জড়িয়ে নেই। মুক্তিযুদ্ধে মানুষের কষ্ট, ত্যাগ আর নির্মমতার শিকার মানুষদের সাথে  একাত্ম হতে নিজেকে সেই সময়ের প্রতিনিধি মনে করে বীরাঙ্গনার পিতার ভূমিকায় অভিনয় করেছি। আশা করি মুক্তির পর দর্শক, শ্রোতাদের অনেক ভালো লাগবে।’ 

 তিনি আরও জানান,  ‘ মহীয়সী নারী বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের নামে প্রতিষ্টিত বঙ্গমাতা সাংস্কৃতিক জোট  সৃষ্টিশীল কাজ করে যাচ্ছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রি জননেত্রি শেখ হাসিনার উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় এই জোট সংস্কৃতির সঠিক গন্তব্যে মানুষকে ফেরাতে কাজ করে যাচ্ছে। সামনে যেকোন চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বক্সমমাতা সাংস্কৃতিক জোট সংস্কৃতির বাতিঘর হিসেবে কাজ করবে ইনশা আল্লাহ।’


-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top