বকশীগঞ্জে জামিনে এসে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ!

S M Ashraful Azom
0
বকশীগঞ্জে জামিনে এসে বাদীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ!


বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি: জামালপুরের বকশীগঞ্জে জমি দখলের চেষ্টা ও নারীকে শ্লীলতাহানীর ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আদালত থেকে জামিনে এসে মামলার বাদীকে গুম করার হুমকি দেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে আসামিদের বিরুদ্ধে। এতে করে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন মামলার বাদী ও তার পরিবার। 
মামলা সূত্রে জানা যায়, বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের পশ্চিম পাড়া গ্রামের আব্দুছ সালামের ছেলে মাহার আলীর সাথে একই গ্রামের হোসেন আলীর ছেলে বাদশা আলী, বাচ্চা মিয়া, আক্তার আলী, মাহা আলস, মমিন মিয়া, মোখলেছ , কুমরুজ্জামান গংয়ের সাথে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছিল।
এই বিরোধের জের ধরে জমির মালিক মাহার আলীর জমিতে গত ৪ ডিসেম্বর সকালে জোরপূর্বক দখলের চেষ্টা চালালে জমির মালিক মাহার আলী ও তার পরিবার বাঁধা প্রদান করেন। এসময় অভিযুক্তরা মাহার আলী, তার পিতা আবদুছ সালাম, ফরিদা বেগম, মাফুজা বেগম , আল্পনা বেগমকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে বেধড়ক মারপিট করেন। একই সঙ্গে ফরিদা বেগম (৩৫) ও আল্পনা বেগম (৩০) কে শারীরিকভাবে শ্লীলতাহানী করেন। এছাড়াও ওই জমিতে থাকা কয়েকটি গাছ গেটে নিয়ে যায় প্রভাবশালী অভিযুক্তরা। পরে স্থানীয়দের সহযোগিতায় আহতদের দ্রæত শ্রীবরদী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। 
এঘটনায় আবদুছ সালামের ছেলে মাহার আলী গত ৭ ডিসেম্বর প্রভাবশালী বাদশা আলী, বাচ্চা মিয়া আক্তার আলী সহ ১৯ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেন ।
এদিকে আসামিরা জামিনে বেরিয়ে এসে প্রকাশ্যে হুমকি দিচ্ছেন মামলার বাদী মাহার আলী ও তার পরিবারকে । তারা বাদী মাহার আলীকে গুম করা সহ তাদেরকে মিথ্যা ফাঁসিয়ে দেওয়ারও হুমকি দিচ্ছেন। 
এতে করে মামলার বাদী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আতঙ্কে দিন পারছেন ওই পরিবারটি। এব্যাপারে মামলার বাদী মাহার আলী জানান, তারা আগের চেয়ে আরো বেশি ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেছে। প্রকাশ্যে তারা হুমকি-ধামকি দিয়ে যাচ্ছেন। একারণে তার পরিবার নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি আসামিদের জামিন বাতিল করার জন্য আদালতের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top