রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনট উপজেলায় রঞ্জু মিয়া (৪২) নামে এক কৃষককে হাসুয়া দিয়ে কুপিয়ে হত্যাকান্ডের রহস্য ১১ মাসেও উন্মোচন করতে পারেনি থানা পুলিশ। এ কারণে এই হত্যা মামলাটি তদন্তের জন্য বগুড়া জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরের দিকে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ধুনট থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) প্রদীপ কুমার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তবে মামলা তদন্তে আশানুরুপ অগ্রগতি না হওয়ায় নিহতের স্বজনরা ন্যায় বিচার পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় রয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শৈলমারি গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে সুলতান আলী, ফিরোজ আহম্মেদ ও কফিল উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান এলাকার চিহ্নিত মাদক কারবারি। তাদের বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রন আইনসহ বিভিন্ন অপরাধে একাধিক মামলা রয়েছে। এলাকায় মাদক দ্রব্য ব্যবসার প্রতিবাদী ছিল একই গ্রামের মোকছেদ আলীর ছেলে কৃষক রজনু মিয়া। সুলতান ও তার সহযোগীদের মাদক কারবারের বাধা হয়ে দাড়িয়েছিল রনজু। এ কারনে সুলতান ও তার সহযোগীরা রনজুর উপর ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে।
এ অবস্থায় ৩১জানুয়ারী সন্ধ্যায় রনজু মিয়া বাড়ির অদুরে পাওয়ার টিলার দিয়ে জমি চাষ করছিলেন। এ অবস্থায় রাত ৯টার দিকে সুলতান ও তার সহযোগীরা জমির ভেতর রনজুকে কুপিয়ে আহত করে পালিয়ে যায়। স্বজনরা রনজুকে উদ্ধার করে বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত ১টায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নিহত রনজুর স্ত্রী শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করে। ওই মামলায় সুলতান আলী, ফিরোজ ও আব্দুল হান্নানের নাম উল্লেখ্যসহ অজ্ঞাত আরো ৬ জনকে আসামী করা হয়েছে। থানা পুলিশ এই মামলার আসামী সুলতান আলী ও ফিরোজকে গ্রেফতার করেছে। আদালত থেকে তাদের রিমান্ডে নিয়ে রঞ্জু হত্যার কোন রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি। বর্তমানে দুই আসামী বগুড়া জেলা কারাগারে আটক রয়েছে।
ধুনট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কৃপা সিন্ধু বালা বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে এ ঘটনার তদন্ত করেছি। কেননা, একজন নিরপরাধ ব্যক্তিও যেন হয়রানির শিকার না হন। এ অবস্থায় ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার নির্দেশে মামলাটি বগুড়া ডিবিতে পাঠানো হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।