সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ ব্যাংকের নির্ধারিত সময় শেষ হওয়ার আগে কটেজ, কুটির, ক্ষুদ্র ও মাঝারি উদ্যোক্তাদের (সিএমএসএমই) জন্য ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজের ৪৬ দশমিক ৩৬ শতাংশ বাস্তবায়ন করেছে তফসিলি ব্যাংকগুলো।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
দেশে করোনা ভাইরাস মহামারির কারণে সৃষ্ট অর্থনৈতিক সংকট মোকাবিলায় সরকার সিএমএসএমই খাতের জন্য ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করে। চলতি বছরের ১৩ এপ্রিল প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার পর কয়েক দফা মেয়াদ বাড়িয়ে ৩১ ডিসেম্বর শেষ সময় নির্ধারণ করে বাংলাদেশ ব্যাংক।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরের ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত ব্যাংকগুলো ৬৬ হাজার ৬১০ জন সিএমএসএমই উদ্যোক্তাকে ৯ হাজার ২৭১ কোটি টাকার ঋণ বিতরণ করেছে। বিতরণের সময়সীমা ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে, এখনও বিতরণ হয়নি ১০ হাজার ৩২৯ কোটি টাকা।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, প্রণোদনা প্যাকেজের আওতায় ইসলামি ব্যাংকগুলো ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত লক্ষ্যমাত্রার ৪৫ দশমিক ৮১ শতাংশ বিতরণ করেছে। ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বিতরণের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে পাঁচ হাজার ৫২০ কোটি টাকা।
ইসলামি ব্যাংকগুলো ছাড়াও বেসরকারি খাতের ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ১০ হাজার ৭৭৯ কোটি টাকার মধ্যে ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ বা পাঁচ হাজার কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
তবে সরকারি, বেসরকারি এবং ইসলামি ব্যাংকগুলোর তুলনায় বিশেষায়িত ও বিদেশিখাতের ব্যাংকগুলোর ঋণ বিতরণের পরিমাণ ভালো। বিশেষায়িত ব্যাংকগুলো লক্ষ্যমাত্রার ৮৭ শতাংশ এবং বিদেশি ব্যাংকগুলো ৫০ শতাংশ বিতরণ করেছে।
বিশেষায়িত ব্যাংকগুলোর লক্ষ্যমাত্রার ২৮৮ কোটি টাকার মধ্যে ২৫০ কোটি টাকা বিতরণ করেছে। বিদেশিখাতের ব্যাংকগুলো ১৯৫ কোটি টাকার মধ্যে ৯৭ কোটি টাকা বিতরণ করেছে।
মহামারি করোনাভাইরাসের ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে সিএমএসএমই খাতের জন্য ৯ শতাংশ সুদে ২০ হাজার কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়। ৯ শতাংশ সুদের মধ্যে ৫ শতাংশ সরকার ভর্তুকি দেবে এবং গ্রাহককে ৪ শতাংশ দিতে হবে।
প্রাথমিকভাবে ব্যাংকগুলোকে জুলাইয়ের মধ্যে প্রণোদনা প্যাকেজের সিংহভাগ এবং বাকি অর্থ আগস্টের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।