সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ সরকারের ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, দেশের ডাক সেবাকে আগামী দিনের চাহিদার আলোকেই ব্যাপক সংস্কারসহ ঢেলে সাজানো হচ্ছে।
-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
শনিবার ঢাকায় ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বাংলাপেক্স-২০২০ এর চতুর্থ বাংলাদেশ জাতীয় ডাকটিকিট প্রদর্শনীর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, ডাকঘরকে নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর সময় তৈরি হয়েছে। চিঠিপত্র ও ম্যানুয়েল যোগাযোগ ব্যবস্থা ডিজিটাল ফর্মেটে তৈরি হওয়ায় ডাকঘরে কাজের পরিধি বেড়েছে অনেক গুণ। ডাক ব্যবস্থার মাধ্যমে পণ্য পরিবহনে ডাকঘরের প্রয়োজনীয়তা অতীতের যেকোনো সময়ের তুলনায় বেড়েছে। করোনাকালে প্রচলিত পণ্য, বাজার ও বাণিজ্য ব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন হয়েছে। ডিজিটাল কমার্স এখন মহীরুহে পরিণত হয়েছে। আমাদের আগামী দিনের বাণিজ্য বলতে ডিজিটাল বাণিজ্য বোঝাবে। পৃথিবী দ্রুত ডিজিটাল হচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় বাণিজ্যও ডিজিটাল হবে। ডাকঘর সারাদেশে বিদ্যমান বিশাল নেটওয়ার্ক ও অবকাঠামো কাজে লাগিয়ে ডিজিটাল বাণিজ্যে অভাবনীয় ভূমিকা রাখবে।
তিনি আরো বলেন, অসাধারণ জ্ঞান অর্জনের হাতিয়ার হচ্ছে ডাকটিকিট। নতুন প্রজন্মের হাতে জ্ঞানের হাতিয়ারডাকটিকিট পৌঁছে দিতে হবে। তাই জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ডাকটিকিট প্রদর্শনীর পাশাপাশি ডাকটিকিট সংগ্রাহক বাড়াতে নতুন প্রজন্মকে উৎসাহিত করতে সংশ্লিষ্টদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানাই।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মো. আফজাল হোসেন, ডাক অধিদফতরের মহাপরিচালক মো. সিরাজ উদ্দিন, আন্তর্জাতিক ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি বার্নি বেল্টন ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তা মনির হোসেন।
এ ভার্চুয়াল ডাকটিকিট প্রদর্শনীর আয়োজন করে ডাক অধিদফতর ও বাংলাদেশ ফিলাটেলিক ফেডারেশন। আগামী ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত প্রদর্শনী চলবে। এ উপলক্ষে ডাক অধিদফতর স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও ডাটা কার্ড প্রকাশ করেছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ঢাকায় তার দফতরে বাংলাপেক্স-২০২০ প্রদর্শনী উপলক্ষে স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন এবং ডাটা কার্ড প্রকাশ করেন। এ উপলক্ষে একটি বিশেষ সিলমোহর ব্যবহার করা হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।