কাজিপুর প্রতিনিধি: মামলার ছয় মাস পেরিয়ে গেলেও ধর্ষণ মামলার চূড়ান্ত অভিযোগ পত্র (চার্জশীঠ) আদালতে জমা দেয়নি সিরাজগঞ্জের কাজিপুর থানা পুলিশ। এরইমধ্যে মামলার এক আসামী জামিনে বেরিয়ে এসেছে। বিচার শুরু না হওয়ায় বারবার জনপ্রতিনিধি ও থানা পুলিশের কাছে ঘুরতে ঘুরতে হতাশ হয়ে পড়েছে মামলার বাদীপক্ষ। এমন অভিযোগ করেছেন বাদীনির পরিবার।
কাজিপুর থানায় দেয়া মামলা ও বাদীনির পরিবারসূত্রে জানা গেছে, গত ১৪ জুন রাতে বাড়ি থেকে নির্খোঁজ হয় উপজেলার কুনকুনিয়া গ্রামের কৃষক পিতার স্কুল পড়–য়া কন্যা(১৬)। পরের দিন ১৫ জুন ওই স্কুল ছাত্রীর পিতা কাজিপুর থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। দুইদিন পর ওই স্কুল ছাত্রীকে চান্দাইকোনা নামক স্থান থেকে উদ্ধার করে তার পরিবার। এই ঘটনায় ১৮ জুন কাজিপুরের পাইকরতলী গ্রামের ফরিদ হোসেনের পুত্র বাসের হেলপার আরিফ(২২) এবং মেঘাই গ্রামের বুদ্দু প্রামানিকের পুত্র মারুফ হোসেন(৩২) কে আসামী করে ওই স্কুলছাত্রী বাদী হয়ে কাজিপুর থানায় ধর্ষণ মামলা দায়ের করে। কাজিপুর থানা পুলিশ ওই স্কুল ছাত্রীর ডাক্তারি পরীক্ষা করায়। এরপর অভিযান চালিয়ে মামলার দুই নম্বর আসামী মারুফকে আটক করে জেলহাজতে পাঠায়। দুই মাস পরে ওই আসামী জামিনে বেরিয়ে এলে শঙ্কিত হয়ে পড়ে ওই স্কুল ছাত্রীর পরিবার। বারবার মামলা তুলে নিতে এবং মীমাংসা করার জন্যে চাপ দিতে থাকে স্কুল ছাত্রীর পরিবারকে। এ নিয়ে স্থাণীয় জনপ্রতিনিধিদের নিকট ও থানায় বার বার ঘুরতে থাকে বাদীনির পরিবার। এভাবে ছয়মাস পেরিয়ে গেলেও থানা পুলিশ মামলার চূড়ান্ত প্রতিবেদন আদালতে পাঠায়নি।
গত (১৩ ডিসেম্বর) রবিবার কাজিপুর থানার অফিসার ইন চার্জ পঞ্চনন্দ সরকার জানান, ‘ আমরা একজনকে আটক করেছি। আরেকজনকে আটকের চেষ্টা চলছে। ফলে প্রতিবেদন দিতে বিলম্ব হচ্ছে। তবে এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের নিকট অনুমতি চেয়েছি। অনুমতি মিললে এ সপ্তাহের মধ্যেই চূড়ান্ত প্রতিবেদন দেয়া হবে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।