প্রতারক আতিকুরকে গ্রেফতার ও বিচার দাবিতে দুইদিন ধরে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মুখে প্যানা হাতে দাঁড়িয়ে আছেন চুয়াডাঙ্গার মামুন হোসেন। প্রতারক মানবাধিকার সংগঠনের খপ্পরে পড়ে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তাঁর অভিযোগ শুনে তথ্যসহ ফোনের অডিও রেকর্ড নিচ্ছেন গণমাধ্যমকর্মী এবং জাতীয় নিরাপত্তা গোয়েন্দা সদস্য সহ প্রশাসনের কর্তারা।
ঢাকার মিরপুর র্যাব-৪ এ অভিযোগ করে প্রতিকার না পেয়ে বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে জাতীয় প্রেস ক্লাবের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন চুয়াডাঙ্গা জেলার দামুড়হুদা থানার চিৎলা গ্রামের নুর ইসলামের ছেলে দিনমজুর মামুন হোসেন। সকালে আসেন বিকেলে চলে যান।
অভিযুক্ত আতিকুর রহমান সবুজ পটুয়াখালীর গলাচিপা থানার অপহরণ মামলার পলাতক প্রধান আসামি। সরকারি অনুমোদনহীন 'ডিজিটাল আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন' নামের সংগঠনের চেয়ারম্যান পরিচয় দেন। গলাচিপা উপজেলার ছোটশিবা গ্রামের নাইটগার্ড হাবিবুর রহমানের ছেলে আতিকুর রহমান থাকেন মিরপুর রুপনগর এলাকায়।
মামুনের অভিযোগ, তাঁকে মিরপুর-১০ বুশরা ক্লিনিকের ৫ম তলায় ডেকে আটকে রেখে কয়েকটি সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে নিয়েছেন কথিত মানবাধিকার চেয়ারম্যান পরিচয়ধারী ও ডিজিটাল প্রতারক খ্যাত আতিকুর রহমান। বিভিন্ন সময় মামুনের কাছ থেকে বিকাশ এবং নগদ টাকাও নিয়েছেন। ভিকটিম মামুন এবং অভিযুক্ত আতিকুরের ফোনের কথপোকথনের রেকর্ড গণমাধ্যমকর্মীদের কাছে দেওয়া হয়েছে। অডিও রেকর্ডে সাদা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষরের বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে।
আতিকুর রহমান সবুজ প্রতারণা করেও থেমে থাকেন না। প্রতারিতরা প্রতিবাদ করে বা মুখ খুলে মিথ্যা মামলায় হয়রানির শিকারও হচ্ছেন। ভিকটিমদের ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করে অপপ্রচার করছে আতিকের চক্র। মিথ্যা ঘটনা উল্লেখ করে ভিকটিমদের বিরুদ্ধে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন থানায় একাধিক জিডি করে আতিকুর রহমান রেকর্ড গড়েছেন।
ভিকটিম মামুন হোসেন আবেগাপ্লুত হয়ে বলেন, আমার পরিবারে সবাই প্রতিবন্ধী। একমাত্র আমার উপার্জনেই সংসার চলে। প্রতারক আতিকুরের ছোপল থেকে আমাকে এবং আমার পরিবারকে রক্ষা করুন।
মুঠোফোনে না পেয়ে অভিযুক্ত আতিকুর রহমান সবুজকে ইমুতে এসএমএস করা হলে তিনি প্রতিবেদকের বিরুদ্ধে জিডি এবং মামলা করবেন বলে হুমকি দেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।