কাজিপুর প্রতিনিধি: ২৭ বছরের শারীরিক ও বুদ্ধি প্রতিবন্ধী আব্দুল্লাহ আল মামুন। সে হাঁটতে পারে না, বসতে পারে না। দু-হাত দিয়ে কোনো কিছু ধরতেও পারে না। এমনকি নিজের হাতে খাবারও খেতে পারে না। বয়স সাতাশ হলেও দেখতে ছোট শিশুর মতো।
ছোটবেলা থেকেই পুষ্টিহীনতায় শারীরিক বৃদ্ধি স্বাভাবিকভাবে হয়নি। মামুনের চিকিৎসা করতে গিয়ে বসবাসের সামান্য ভিটেটুকুও বিক্রি করতে হয়েছে।
সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার মেঘাই গ্রামের আবু হানিফ পালোয়ান মিয়া ও ফরিদা ইয়াসমিন দম্পতির পুত্র মামুন। এখন তাদের বাস মেঘাই ওয়াপদা বাধের ঝুপড়ি ঘরে। পোষাক কারখানার কর্মী পালোয়ানের যে রোজগার তাতে করে কোন রকমে খেয়ে পরে দিন চলে যায়। কিন্তু যত দিন গড়াচ্ছে ততই তাদের পুত্র প্রতিবন্ধী মামুনের শরীরে দেখা দিচ্ছে নতুন নতুন সমস্যা। শরীরের গঠনগত অস্বাভাবিকত্বের কারণে মামুনের পায়ুপথে সমস্যা হওয়ায় পায়খানা স্বাভাবিকভাবে হয়না।
মামুনের হাড়-মাংস শুকিয়ে চেহারা হয়েছে কঙ্কালসার। বিছানায় শুয়ে শুয়ে দিনরাত চলে যায়। কাউকে দেখলে শুধু ফ্যাল ফ্যাল করে তাকিয়ে থাকে। দু’চোখে তার বেঁচে থাকার আর্তি। শুক্রবার(৫ মার্চ) দুপুরে মামুনের বাবা আবু হানিফ পালোয়ান জানান, ‘ভারতে নিয়েও চিকিৎসা করেছিলাম। শেষ করতে পারিনি। অর্থের অভাবে শেষ করতে পারিনি। এখন ডাক্তার জানিয়েছেন ওর একটি অপারেশন করতে হবে। অপারেশনটি ব্যয়বহুল।’ পালোয়ান-ফরিদা দম্পতির পক্ষে এই ব্যয় নির্বাহ করা সম্ভব নয় ।
এ কারণে সমাজের সহৃদয় বিত্তবানদের প্রতি সাহায্যের অনুরোধ করেছেন তারা। সাহায্য পাঠানোর ঠিকানা-মোছা: ফরিদা ইয়াসমিন, সঞ্চয়ী হিসাব নং-২১৪৬৭, ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড, সিরাজগঞ্জ শাখা, সিরাজগঞ্জ।
বিস্তারিত তথ্যের জন্য মোবাইল ০১৭২০-৪৫৭৩১৮ (বিকাশ), নগদ একাউন্ট ০১৮৪৫-৩৬৬১৪৫।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।