কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার গান্ধাইল ইউনিয়নের চকদামপুর গ্রামের বৃদ্ধ আজিবার হোসেনের মোবাইল ফোনে নগদ হিসেবে আসে বয়স্ক ভাতার তিন হাজার টাকা। একই গ্রামের গ্রাম পুলিশ সোহেল রানা বিষয়টি জানতে পেরে কথা বলার এক পর্যায়ে আজিবারের মোবাইল ফোনটি হাতে নেয়। এরপর পিন নম্বর জেনে নিজের হিসেবে পুরো তিন হাজার টাকা ট্রান্সফার করে সে। ওই গ্রামের আরও দুই জনের ভাতার টাকাও সে নিজের মোবাইল ফোনে পার করে নেয়। এদিকে আশপাশের অন্য বয়স্কদের মোবাইল ফোনে টাকা আসার বিষয়টি জানাজানি হলে আজিবার হোসেন গান্ধাইল ইউপি চেয়ারম্যানের স্মরণাপন্ন হন। চেয়ারম্যান আজিবারের সাথে কথা বলে এবং তার মোবাইল ফোন দেখে টাকা উঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত হন। এসময় তিনি ওই বৃদ্ধকে কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দেবার পরামর্শ দেন। ভুক্তভোগীরা ইউএনওর নিকট অভিযোগ করলে তিনি গত বৃহস্পতিবার ( ১৭ জুন ) গ্রাম পুলিশ সোহেল রানাকে নিজ কার্যালয়ে ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় সোহেল রানা অভিযোগের সত্যতা স্বীকার করে জানায় ভুল বুঝতে পেরে ওই তিনজনকে নগদের মাধ্যমে টাকা ফেরৎ দিয়েছি।
এবিষয়ে গান্ধাইল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আশরাফুল আলম জানান,‘ গ্রামপুলিশ সোহেলকে জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় সে তিনজনের মোবাইলে টাকা ব্যাক দিয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ‘ বিগত আড়াই বছরে স্বচ্ছতার সাথে প্রায় ২৫ জন গ্রাম পুলিশ নিয়োগ দিয়েছি। সুযোগ সৃবিধার দিকটিও দেখছি। তদুপরি তাদের একজনের এমন কাজ করাটা দুঃখজনক। শুনেছি টাকা ফেরত দিয়েছে। তারপরেও তদন্ত করে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে ’
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।