রফিকুল আলম,ধুনট (বগুড়া): বগুড়ার ধুনটে যমুনার বাঁধ রক্ষায় নির্মিত বানিয়াজান স্পারের আরো ২৫ মিটার অংশ ভেঙে বিলীন হয়েছে নদীগর্ভে। পানির তোড়ে রবিবার সকালের দিকে তৃতীয় দফায় ভাঙন শুরু হয় এই স্পারে। এ নিয়ে স্পারের প্রায় ৭৫ মিটার অংশ নদীতে বিলীন হয়েছে। ফলে ভাঙনের ঝুকিতে পড়েছে বন্যা নিয়ন্ত্রন বাঁধ সহ জনবসতি এলাকা।
রবিবার সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, উপজেলার ভান্ডারবাড়ি ইউনিয়নের পূর্ব পাশ দিয়ে বহমান যমুনা নদীর ভাঙন ঠেকাতে ২০০৩ সালে ১১ কোটি টাকা ব্যয়ে স্পরটি নির্মান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড। এরপর থেকে নদীর পানি অনেক দূর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় ঝুকিমুক্তি ছিল স্পারটি।
কিন্ত নদীর বুকে ডুবু চর জেগে ওঠায় গেল ৫আগষ্ট পানির তোড়ে ভেঙে যায় স্পারের ২০মিটার অংশ। পানি উন্নয়ন বোর্ড সেখানে শুরু করে মেরামত কাজ। তবে মেরামত কাজ চলাকালেই ৯ আগষ্ট রাতে ওই অংশ সহ আরো ৩০ মিটার স্পার ভেঙে নদীগর্ভে বিলীন হয়ে যায়। তিন দফায় স্পারের ৭৫ মিটার অংশ বিলীন হয়েছে। তবে এই ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
এতে স্পারের অগ্রভাগের ঢালাই করা অংশ থেকে মাটির তৈরী অংশ আলাদা হয়েছে। ওই স্পারের উপরের অংশ পুরোটাই নদীতে বিলীন হয়ে ভাঙনের ঝুকি নিয়ে দাড়িয়ে আছে ঢালাই করা অংশ। পানি বৃদ্ধির সাথে স্রোত বেড়ে গেলে স্পারের অগ্রভাগের অংশ নদীতে বিলীন হওয়ার আশংকা করছেন এলাকাবাসি।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন, আফছার আলী, হযরত আলী সহ অনেকে জানান, পাউবো ধসে যাওয়া স্থানে ধীর গতিতে মেরামত কাজ করছিল। এ কারণে পানির প্রবল চাপে বার বার স্পার ভেঙে নদীতে বিলীন হচ্ছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড সময় মতো টেকসই মেরামত কাজ করলে স্পারটি বার বার ভেঙে সরকারি টাকা অপচয় হতো না বলে জানান এলাকাবাসি।
বগুড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী হুমায়ুন কবির জানান, বানিয়াজান স্পারের ভাঙন ঠেকাতে নিরলসভাবে চেষ্টা করা হচ্ছে। কিন্ত পানি বৃদ্ধির ফলে প্রবল স্রোতে টিকছে না স্পারটি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।