বিশেষ প্রতিবেদক: আগামীকাল রবিবার শোকতপ্ত ১৫ আগষ্ট। হাজার বছরের শ্রেষ্ট বাঙালী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের শাহাদৎ বার্ষিকী। এ বছরই আমরা তাঁর জন্ম শতবার্ষিকী পালন করছি। তাই এবারের জাতীয় শোকদিবস খুবই তাৎপর্যপূর্ণ। বিরোধী পক্ষের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে প্রতি বছর ওই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের স্মরণে দিনটি যথাযথ মর্যাদা ও ভাবগম্ভীর পরিবেশে সারাদেশে জাতীয় শোকদিবস হিসেবে পালন করা হয়। শোকদিবসের অংশ হিসেবে এ দিনে কালো পতাকা উত্তোলন সহ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা অর্ধনিমিত রাখা হয়।
১৯২১ সালের ১৭ মার্চ বাংলার অবিসংবাদিত নেতা এদেশের মহান স্থপতি শেখ মুজিবুর রহমান গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় জন্মগ্রহণ করেন। এদেশের মুক্তির সংগ্রামে তিনি অপরিসীম ত্যাগস্বীকার করেন। দীর্ঘ চরাই-উৎরাই পার হয়ে তিনি এদেশকে পরাধীনতার গ্লানী থেকে মুক্ত করেন এবং সদ্য-স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রনায়ক নির্বাচিত হন। কিন্তু তিনি বেশীদিন আমাদের মাঝে বেঁচে থাকতে পারেননি। দেশী-বিদেশী বিভিন্ন কুচক্রী মহলের রোষানলে পড়ে তিনি মাত্র ৫৪ বৎসর বয়সে ১৯৭৫ সালের ১৫ আগষ্ট ঘাতকদের নির্মম বুলেটে ক্ষতবিক্ষত হয়ে শহীদ হন। ঘাটকদের নির্মমতা ও জঘন্য হত্যাকাণ্ড সর্বোকালের চরম পৈশাচিকতাকে হার মানিয়েছে!
আগামীকাল জাতির পিতা শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদৎ বার্ষিকী। শোকতপ্ত ১৫ আগষ্ট জাতির জন্য এক অন্ধকারময় অধ্যায়। ঐদিন ঘাতকদের বুলেট তাঁর পরিবারের প্রায় সকল সদস্য-সদস্যাসহ শিশু রাসেলকেও রেহাই দেয়নি। ইতিহাসের ওই নিষ্ঠূরতম হত্যাকান্ডের শিকার সকল শহীদদের প্রতি এদিন গভীর শ্রদ্ধা জানানো হয়। এ উপলক্ষ্যে আগামীকাল তাঁদের আত্মার চিরকল্যাণে বিশেষ প্রার্থনাসভা ও শ্রদ্ধাঞ্জলী জ্ঞাপন করা হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।