কাজিপুর প্রতিনিধি: সিরাজগঞ্জের কাজিপুর পয়েন্টে যমুনার পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। গত ২৪ ঘন্টায় ১০ সেমি. পানি বৃদ্ধি পেয়ে বিপদ সীমার ৫২ সেমি. উপর দিয়ে বইছে।
আর গত কয়েকদিন যাবৎ ক্রমাগত পানি বৃদ্ধির ফলে কাজিপুরের চরাঞ্চলের নানা স্থানে দেখা দিয়েছে ভাঙন।
বুধবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। এতে করে প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির আমন ধান ও পাট পানিতে তলিয়ে গেছে।
এদিকে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এরই মধ্যে চরাঞ্চলের নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাধে গত মঙ্গলবার দুপুর থেকে ধস শুরু হয়েছে। ভাঙন শুরু হয়েছে খাসরাজবাড়ি ইউনিয়নের সানবান্দা এলাকায়।
চরগিরিশ ইউনিয়নের চর ডগলাসে ও মনসুরনগর ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তার সেতুর একপাশে ধস দেখা দিয়েছে।
বিশেষ করে নাটুয়ারপাড়া রক্ষাবাধে ধস দেখা দেয়ায় আতঙ্কে রয়েছে প্রায় পনেরটি গ্রামের অর্ধলক্ষ মানুষ।
ইতোমধ্যে ধস ঠেকাতে জনপ্রতিনিধিগণ স্থানীয়ভাবে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় এই মুহূর্তে ধস ঠেকাতে জিওব্যাগ ফেলা হচ্ছে।
বুধবার কাজিপুর উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান সিরাজী ভাঙন এবং ধসে যাওয়া স্থানগুলো ঘুরে দেখেছেন। তিনি জানান, ধস ঠেকাতে আমরা উদ্যোগ নিয়েছি।
পাউবো’র সাথে কথা হয়েছে। তারাও কাজ শুরু করবে। বালির বস্তা ফেলে দুটো সেতু রক্ষার কাজও শুরু হয়েছে।
খাসরাজবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জহুরুল ইসলাম জানান, সানবান্দা এলাকায় প্রচন্ড ভাঙন শুরু হয়েছে। গত চারদিনে প্রায় বেশ কয়েকটি আবাদী জমি নদীগর্ভে চলে গেছে।
এদিকে উপজেলা কৃষি অফিস জানিয়েছে বন্যায় প্রায় সাড়ে তিন হাজার হেক্টর জমির রোপা আমন, পাটসহ অন্যান্য ফসল পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, ভাঙন কবলিত মানুষের জন্যে সরকারি বরাদ্দ বরাদ্দ পেয়েছি। তালিকা করে বিতরণের কাজ চলমান রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।