কাজিপুর(সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি: একদিকে যমুনার তান্ডবে ভাঙছে বাধের বাধের এক অংশ অন্যদিকে ওই বাধেরই অন্য অংশের পাশ ঘেষে তোলা হচ্ছে বালি।
পানির মধ্যে অনেকগুলো ড্রেজার বসিয়ে দিনের পর দিন বালি তুলে তা বিক্রি করে দিচ্ছে এক শ্রেণির প্রভাবশালী ব্যক্তিগণ।
এতে করে সিরাজগঞ্জের কাজিপুর প্রায় কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত উপজেলার নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন রক্ষা বাধটি এখন চরম ভাঙন ঝুঁকিতে রয়েছে।
আতঙ্কে রয়েছে নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নসহ আশপাশের ১৫ গ্রামের মানুষ। যমুনার চরাঞ্চলে অবস্থিত নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়নটি নানা কারণে কাজিপুরের গুরুত্বপূর্ণ।
বার বার ভাঙনের পরেও এই ইউনিয়নটির গুরুত্ব একটুও কমেনি। বরং কয়েক বছর পূর্বে পশ্চিমে মেঘাই আর পূর্বে নাটুয়ারপাড়া ঘাটকে কেন্দ্রে করে দেশের ৩২ তম নৌ বন্দর ঘোষিত হয়েছে।
এই অঞ্চলটিকে নদী ভাঙন থেকে রক্ষায় ২০১১ সালে স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান নাটুয়ারপাড়া রক্ষা বাধের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।
এরপর সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান বকুল সরকার এই বাধটিকে টিকিয়ে রাখতে উপজেলা পরিষদ এবং স্থানীয় এমপি’র বরাদ্দ দিয়ে বাধটির কাজ করেন।
২০১৮ সালে নাটুয়ারপাড়া বাজার সমিতির লোকজন এই বাধ রক্ষায় নিজেরা অর্থ প্রদান করেন। বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান নিজেও বাধ রক্ষায় কাজ করে যাচ্ছেন।
অথচ এরই মধ্যে ওই বাধের গোড়ার দিক থেকে বালি তুলে বিক্রি করায় শঙ্কিত হয়ে পড়েছে এলাকার মানুষ।
বালি উত্তোলনকারি আবুল কাসেম জানান, ‘আমার জমি থেকে আমি বালি তুলছি। সেখানে কার কি অসুবিধা হল তা দেখার দায়িত্ব আমার না।’
নাটুয়ারপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল ম্ান্নান চাঁন জানান,‘ ঐ জমির মালিককে নিষেধ করলেও তিনি মানছেন না।
নাটুয়ারপাড়া ইউনিয়ন আ.লীগ সভাপতি আব্দুর রহিম মাস্টার জানান, একাধিকবার বলেও কাজ হয়নি। আপনারা (সাংবাদিকগণ) একটু লিখুন। প্রশাসন দেখুক।’
কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাহিদ হাসান সিদ্দিকী জানান, এলাকাবাসির জন্য বাঁধটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
এ পর্যন্ত কেউ বালি উত্তোলনের বিষয়টি আমাকে জানায়নি। এখন জানলাম। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।