কাজিপুর প্রতিনিধি: সেচ মৌসুম শেষ হওয়ায় সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলায় বেড়েছে সেচ সংযোগের বৈদু্যূতিক ট্রান্সফরমার চুরি।
গত এক সপ্তাহে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে ৫ টি ট্রান্সফরমার চুরি গেছে। এ নিয়ে উদ্বিগ্ন গ্রাহক এবং জনগণকে সচেতন করতে এলাকায় বিশেষ মাইকিং শুরু করেছে সিরাজগঞ্জ পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-২।
কাজিপুর উপজেলা পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয় এবং স্থানীয়সূত্রে সূত্রে জানা গেছে, আমন মৌসুম শেষ হওয়ায় কৃষকেরা তাদের সেচ সংযোগের মটর এবং সংশ্লিষ্ট ট্রান্সফরমারগুলোর পাহারায় শিথিলতার সুযোগে চুরির ঘটনা ঘটছে।
গত সাতদিনের ব্যবধানে উপজেলার মাইজবাড়ী ইউনিয়নের ছালাভরা এবং চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের শিমুলদাইড় এলাকা থেকে সেচের কাজে ব্যবহৃত ৫ টি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফরমার চুরি হয়ে গেছে। এতে করে সেচ সংযোগ গ্রহিতারা বিপাকে পড়েছেন।
শিমুলদাইড় গ্রামের সেচ সংযোগ গ্রহিতা শহিদুল ইসলাম জানান, গত চারদিন পূর্বে আমার সেচের ট্রান্সফরমারটি চুরি গেছে। সামনে কদিন পরেই আবারো বোরো মৌসুম। অফিস বলছে ২৫ হাজার টাকা দিয়ে সংযোগ আবার সচল করতে হবে। অনেক টাকার ক্ষতি হয়ে গেলো।
মাইজবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব শওকত হোসেন জানান, এ বিষয়ে আমরা গত সোমবার ( ৮ নভেম্বর) উপজেলা আইন শৃংঙ্খলা সভায় আলোচনা করেছি। সচেতনতা বাড়াতে কাজ শুরু করেছে পল্লী বিদ্যুৎ।
সিরাজগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২ কাজিপুর এর ডিজিএম আবদুল্লাহ আল আমিন জানান, সেচ গ্রাহকদের এ বিষয়ে সচেতন করতে কাজ করে যাচ্ছি। এ বিষয়ে আজ (৯ নভেম্বর) কাজিপুর থানায় একটি জিডি করা হয়েছে।
আমরা সংযোগ গ্রহিতাদের বলেছি ট্রান্সফরমার খুলে নেয়া হবে। সেচ মৌসুম শুরু হলে লাগিয়ে দেয়া হবে।
কিন্তু তাদের অনেকেই নিজ দায়িত্বে সংযোগ সচল রেখেছেন। আর ঘটছে চুরির ঘটনা। এ কারণে আমরা আজ মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) থেকে মাইকিং করে সেচ গ্রহিতা এবং জনগণকে সচেতন করার কাজ চালু করেছি।
একটি হট নম্বর দিয়ে দেয়া হয়েছে। চুরি সংক্রান্ত কোন বিষয় পরিলক্ষিত হলে সাথে সাথে আমাদের জানালে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।