শফিকুল ইসলাম: সন্তানের পিতৃ পরিচয়ের দাবীতে অনশন করছেন শিরিনা বেগম (২৯) নামের এক গৃহবধু। ঘটনাটি ঘটেছে গত ৫ নভেম্বর কুড়িগ্রাম জেলার রৌমারী উপজেলার চরশৌলমারী ইউনিয়নের উত্তর খেদাইমারী গ্রামে।
বিচার চেয়ে গ্রাম্যমাতাব্বরদের দ্বারে দ্বারে ঘুরলেও বিচার পাচ্ছেন না। ভুক্তভোগী ওই গৃহবধু বাদী হয়ে রৌমারী থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন।
অভিযোগ ও পুলিশ সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার বড় চর গ্রামের শুক্কুর আলীর মেয়ে শিরিনা ও একই ইউনিয়নের উত্তর খেদাইমারী গ্রামের মহির উদ্দিনের ছেলে শুক্কুর আলী দীর্ঘদিন থেকে ঢাকা গাজিপুর এক গার্মেন্টস এ চাকুরি করে আসছেন।
সেই সুবাদে তাদের দুজনের মধ্যে পরিচয় হয় এবং প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। পরে উভয়ের মতামতের ভিত্তিতে তারা ২০১৩ সালে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
ইতোমধ্যে তাদের ঘরে মিম আক্তার নামের ৮ বছর বয়সি একটি কন্যা সন্তানও রয়েছে।
গত ২ মাস আগে গৃহবধুর স্বামী শুক্কুর আলী তার স্ত্রীকে কিছু না জানিয়ে নিজবাসা রৌমারীতে চলে আসেন এবং স্ত্রী ও সন্তানের সাথে যোগাযোগ একেবারেই বন্ধ করে।
পরে ওই গৃহবধু শিরিনা স্বামীর খোঁজে নিজ এলাকায় আসেন এবং গৃহবধু জানতে পারেন তার স্বামী বাড়িতেই রয়েছেন।
সংবাদ শোনে স্ত্রী শিরিনা ও মেয়ে মৌসুমীকে নিয়ে স্বামী শুক্কুর আলীর বাড়িতে যান। এসময় শুক্কুর আলী তাদের বিয়ের কথা অস্বীকার করেন।
অপরদিকে তার জন্মগত মেয়েকেও অস্বীকার করছেন। পাশাপাশি গ্রাম্যমাতাব্বর শাহাবুদ্দিন, খালেক ও সোনাউল্লাহ গৃহবধুর সংসার টিকিয়ে দিতে তার কাছে মোটা অঙ্কের অর্থ দাবী করে।
এই অর্থ দিতে অস্বীকার করলে তার উপর নেমে আসে অমানবিক নির্যাতন। শুধু তাই নয়, গৃহবধুর ও সন্তানকে বাড়ি থেকে তাড়িয়ে দেয়।
মা ও মেয়ে বর্তমানে নিরাপত্তাহীনতায় রয়েছেন। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত মা ও মেয়ে স্বামীর বাড়িতে অবস্থান করছেন।
চরশৌলমারী ইউপি চেয়ারম্যান একেএইচএম সাইদুর রহমাম দুলাল সত্যতা স্বীকার করে বলেন মা ও মেয়ে আমার কাছে বিচার চেয়েছে।
তার স্বামী শুক্কুর আলীকে বিচারের তারিখ দিলে সে বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
রৌমারী থানার অফিসার ইনচার্জ মোন্তাছের বিল্লাহ জানান, এবিষয়ে অভিযোগ পেয়েছি এবং গুরত্বসহকারে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।