জামালপুর সংবাদদাতা: জামালপুর সদর উপজেলার ১নং কেন্দুয়া ইউপি নির্বাচনে আ’লীগ প্রার্থী শেখ মাহববুর রহমান মঞ্জু এবং বিদ্রোহী প্রার্থ সাইফুল ইসলাম খান সোহেলের সমর্থকদের মাঝে হট্রগোল, পাল্টা ধাওয়ায় কম পক্ষে ১৬জন আহত হয়েছে।
এ সময় দোকান পাট ভাংচুরের ঘটনাও ঘটেছে। গ্রেপ্তার হয়েছে ৩জন।
ওদিকে নির্বাচনী কাজে আ’লীগের প্রার্থীর বিপক্ষে অবস্থান নেয়ায় আরো ৩ নেতা-কর্মীকে বহিষ্কার করেছে জেলা আ’লীগ। এ নিয়ে মোট ২৫জনকে বহিষ্কারের কথা জানা গেছে।
সদর উপজেলার ১২নং তিতপল্যা ইউনিয়নের বহিস্কৃতরা হলেন-আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাহমুদুল হাসান রুকন, কৃষি বিষয়ক সম্পাদক মো. মতিয়র রহমান।
এ ছাড়াও ১৩নং মেষ্টা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা আলহাজ মো. নাজমুল হক। স্থানীয় আওয়ামী লীগের দফতর সম্পাদক মোহাম্মদ শফিউদ-দৌলা চিশতি গণমাধ্যমে প্রেরিত প্রেসবিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানানো হয়।
জানা গেছে, ২ নভেম্বর দিবাগত রাতে সদর উপজেলার কেন্দুয়া ইউনিয়নের কালিবাড়ী বাজারে সরকার দলীয় প্রার্থী এবং বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থীর মিছিল থেকে হট্রগোলের রূপ নেয়। মুহুর্তেই বিক্ষুব্ধরা দোকান ভাংচুরসহ পাল্টাপাল্টি ধাওয়াসহ ইটপাটকেল নিক্ষেপ বিনিময় হয়। এতে উভয় পক্ষে ১৬জন সমর্থক আহত হয়।
বিদ্রোহী প্রার্থী সাইফুল ইসলাম খান সোহেল জানান, আমার কর্মী সমর্থক ও সাধারন মানুষের ঢল দেখে প্রতিপক্ষের লোকেরা হট্রগোলের সৃষ্টি করে। ওরা আমার নির্বাচনী প্রচারণা ঘর ভাংচুর করেছে। আমার ৬ কর্মীকে আহত করেছে।
কেন্দুয়া ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ফজলুল হক নুরল জানান, মঙ্গলবার রাতে কোন কিছু বুঝার আগেই বিদ্রোহী প্রার্থীর সমর্থকরা ১০থেকে ১৫টি দোকান ভাংচুর ও দোকানের মালামাল লুট করেছে। এ সময় আমাদের ১০জন কর্মীকে আহত করেছে।
কালীবাড়ী বাজারের দোকান মালিক ও ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মুরাদ হোসেন তরফদার বিদ্রোহী প্রার্থীকে সমর্থন করায় আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা তার দোকানে দেশী অস্ত্র দিয়ে এলোপাথালি কুপিয়ে ভাংচুর করেছে বলে জানিয়েছে তার মামী রোকেয়া।
জামালপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রেজাউল ইসলাম খান জানান, এ ঘটনায় শাওন খান নামের এক ব্যাক্তি সদর থানায় একটি মামলা দায়ের করেছেন। তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।