সেবা ডেস্ক: চাঁপাইনবাবগঞ্জে’র ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট জেলা সদ’র হাসপাতালে আজ বৃহস্পতিবা’র অস্ত্রোপচারে’র মাধ্যমে এক নারী’র ঊরুসন্ধি প্রতিস্থাপন (হিপ জয়েন্ট রিপ্লেসমেন্ট) করা হয়েছে।
এ হাসপাতালে প্রথমবারে’র মতো এ ধ’রনে’র অস্ত্রোপচা’র হলো বলে দাবি চিকিৎসকদে’র।
হাসপাতালে’র
অর্থোপেডিক বিশেষজ্ঞ মো. ইসমাইলে’র নেতৃত্বে
এ অস্ত্রোপচা’র সম্পন্ন হয়েছে। সফল এই অস্ত্রোপচারে’র
প’র সদ’র হাসপাতালে এখন
থেকে মানুষ বিনা মূল্যে ঊরুসন্ধি
প্রতিস্থাপনে’র সুযোগ পাবেন বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকেরা।
সদ’র
হাসপাতালে’র তত্ত্বাবধায়ক মমিনুল হক বলেন, শুধু
চাঁপাইনবাবগঞ্জেই নয়, দেশে’র জেলা
সদ’র হাসপাতালগুলোতেও এ’র আগে কোথাও
এ ধ’রনে’র অস্ত্রোপচা’র হয়নি বলেই তাঁরা
জানেন। এ কা’রণেই জেলা
হাসপাতালে’র জন্য আজ (বৃহস্পতিবা’র)
একটি ঐতিহাসিক দিন।
মমিনুল
হক বলেন, ঊরুসন্ধি প্রতিস্থাপনে’র অস্ত্রোপচা’রটি জটিল ও কঠিন।
দক্ষ সার্জনে’র অভাবে’র কা’রণে জেলা সদ’র হাসপাতালগুলোতে
এ ধ’রনে’র অস্ত্রোপচা’র করা হয় না।
সাধা’রণত মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, ঢাকা
ও দেশে’র বাইরে উন্নত হাসপাতালগুলোতে এ ধ’রনে’র অস্ত্রোপচা’র
হয়ে থাকে। এটা ব্যয়বহুলও।
অস্ত্রোপচা’র
হওয়া নারী’র নাম আশা রানী
(৪৫)। তিনি চাঁপাইনবাবগঞ্জ
শহরে’র হুজরাপু’র মহল্লা’র বাসিন্দা। প্রায় ১৫ বছ’র ধরে
তিনি হাঁটতে পা’রছিলেন না। আশা রানী’র
মেয়ে সুমি রানী (২৫)
বলেন, ‘ছোটবেলা থেকেই দেখে আসছি, মা
ঠিকমতো হাঁটতে পারেন না। আমরা গরিব
মানুষ বলে অনেক টাকা
খ’রচ করে অপারেশন (অস্ত্রোপচা’র)
করাতে পা’রছিলাম না। ইসমাইল ডাক্তা’র
সমস্যা’র কথা শুনে অপারেশন
করে দিলেন।’
অস্ত্রোপচারে নেতৃত্ব দেওয়া চিকিৎসক মো. ইসমাইল বলেন, অবেদনবিদ শওকত মোল্লা, চিকিৎসক মশিউ’র ‘রহমান, নার্স মৌসুমি ইমাম, ফে’রদৌসী খাতুন ও নাসিমা খাতুনে’র সহযোগিতা নিয়ে অস্ত্রোপচা’রটি করা হয়েছে। ঊরুসন্ধি’র বলটি ক্ষয়ে গেলে পা ভাজ হয় না, মানুষ হাঁটতেও পারে না। এখন থেকে এ হাসপাতালে এ ধ’রনে’র অস্ত্রোপচারে’র সুযোগ মানুষ বিনা মূল্যে পাবেন। রোগীকে হাসপাতাল থেকে প্রয়োজনীয় এন্টিবায়োটিকসহ অন্যান্য ওষুধও দেওয়া হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।