সেবা ডেস্ক: বাংলাদেশ স’রকারে’র প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দারিদ্র্য ও মঙ্গা বলে বাংলাদেশে কিছু থাকবে না। দেশে’র প্রতিটি মানুষ সুন্দ’র ভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন পাবে সেটাই আমা’র লক্ষ্য।
আজ সোমবা’র গণভবন থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত
হয়ে ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফ’র ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স
অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন
তিনি।
প্রধানমন্ত্রী
বলেন, আমা’র কোনো চাওয়া-পাওয়া
নেই। আমা’র জন্য কোনো কিছু
করা হোক সেটা আমা’র
কাছে কাম্য না। কা’রণ আমি
জাতি’র পিতা’র আদর্শ বুকে ধা’রণ করে
দুঃখী মানুষে’র মুখে হাসি ফোটাবা’র
লক্ষ্য নিয়ে কাজ করেছি।
তিনি
আরো বলেন, আমি আমা’র বাবা,
মা, ভাই, বোন সব
হারিয়েছি। কিন্তু আমি একটা সিদ্ধান্ত
নিয়েছি। যত কষ্ট, যত
আঘাত, যত বাধাই আসুক
যে স্বপ্ন নিয়ে আমা’র বাবা
এই দেশ স্বাধীন করেছেন
তা’র সেই স্বপ্ন পূ’রণ
ক’রতেই হবে। বাংলাদেশ হবে
ক্ষুধা দারিদ্র্য মুক্ত। দারিদ্র্য বলে, মঙ্গা বলে
বাংলাদেশে কিছু থাকবে না।
বাংলাদেশে’র প্রত্যেকটা মানুষ সুন্দ’রভাবে বাঁচবে এবং উন্নত জীবন
পাবে সেটাই আমা’র লক্ষ্য। আ’র সেই লক্ষ্য
স্থি’র রেখেই আমা’র পথ চলা।
তিনি
আরো বলেন, আজকে আমরা উন্নয়নশীল
দেশ, ইনশাআল্লাহ বাংলাদেশ একদিন উন্নত দেশ হিসেবে বিশ্ব
দ’রবারে মাথা উঁচু করে
দাঁড়াবে।
এ বছ’র ‘বঙ্গবন্ধু মেডেল ফ’র ডিপ্লোমেটিক এক্সিলেন্স
অ্যাওয়ার্ড-২০২০’ পেয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত সংযুক্ত আ’রব আমিরাতে’র সাবেক
রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি এবং
প’ররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে’র মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটে’র সচিব মোহাম্মাদ খু’রশেদ
আলম।
তাদে’র
বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যে ২ জন
কূটনীতিক আজকে’র পদক বিজয়ী তারা
নিজ নিজ অবস্থান থেকে
অসাধা’রণ কূটনৈতিক নৈপুণ্য প্রদর্শন করেছেন।
সায়েদ
মোহাম্মদ আল মেহেরি সম্পর্কে
তিনি বলেন, আমাদে’র অকৃত্রিম বন্ধু রাষ্ট্র সংযুক্ত আ’রব আমিরাতে’র সাবেক
মান্যব’র রাষ্ট্রদূত সায়েদ মোহাম্মদ আল মেহেরি বাংলাদেশে
দায়িত্ব পালনে’র সময় আমাদে’র ২
দেশ এবং জনগণে’র মধ্যে
সম্পর্ক আরো নিবিড় ক’রতে
অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছেন।
রিয়া’র
অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মাদ খু’রশেদ
আলম সম্পর্কে বলতে গিয়ে তিনি
বলেন, জাতি’র পিতা ১৯৭৪ সালে
যে মেরিটাইম বাউন্ডারি নিয়ে আইন করে
যান এবং মিয়ানমারে’র সঙ্গে
আলোচনা করে এ সীমা’র
ব্যাপারে কিছু সিদ্ধান্ত দিয়ে
যান। আমাদে’র দুর্ভাগ্য ১৯৭৫ সালে জাতি’র
পিতাকে হত্যা’র প’র যে স’রকা’রগুলো
এসেছিল, যেমন জেনারেল জিয়া,
জেনারেল এ’রশাদ বা খালেদা জিয়া,
তারা এ ব্যাপারে কোনো
উদ্যোগ গ্রহণ করেনি। ১৯৯৬ সালে আওয়ামী
লীগ স’রকা’র যখন ক্ষমতায় আসে
তখনই আমরা এই সমুদ্রসীমা
কীভাবে বাস্তবায়ন ক’রতে পারি তা’র ব্যবস্থা
নেই।
তিনি আরো বলেন, এই উদ্যোগে আমাদে’র মেরিটাইম অ্যাফেয়ার্স ইউনিটে’র সচিব রিয়া’র অ্যাডমিরাল (অব.) মোহাম্মাদ খু’রশেদ আলম যথেষ্ট ভূমিকা রাখেন। এ’র জন্য অনেক কাজ ক’রতে হয়েছে। তিনি অত্যন্ত আন্তরিকতা’র সঙ্গে তা’র ওপ’র অর্পিত দায়িত্ব পালন করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।