শিব্বির আহমদ রানা, বাঁশখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামের বাঁশখালী পৌরসভা নির্বাচনে অনিয়মের অভিযোগে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী ভোট বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন।
আজ রোববার বেলা ১১টা ৩০ মিনিটে বাঁশখালী উপজেলা পরিষ চত্বরে ভোট বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।
অনিয়মের অভিযোগ তুলে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেওয়া স্বতন্ত্র প্রার্থী হলেন বাঁশখালী পৌরসভার সাবেক মেয়র কামরুল ইসলাম হোসাইনী (মোবাইল ফোন প্রতিক)।
স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী অভিযোগ করে সাংবাদিকদের বলেন, সবকটি গোপন কক্ষে নৌকার লোকজন নৌকা মার্কায় জোর করে সুইচ টিপে ভোট নিচ্ছে। নারী কাউন্সিলর ও কাউন্সিলর পদে পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিতে পারলেও মেয়র পদে জোর করে ভোট নেওয়া হচ্ছে। এমনকি আমার এজেন্ট বের করে দেওয়া হয় বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে।
এ সময় তিনি বলেন, ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে আমার ভোটারদেরকে বলা হচ্ছে কাউন্সিলরদের ভোট দিয়ে দিয়েছেন এটাই শেষ। মেয়র পদে মোবাইলে ভোট দেওয়ার দরকার নাই। সকাল থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার পর থেকে নৌকা প্রতিকের লোকজন আমার এজেন্টদের বের করে দিয়েছে। নৌকার প্লেকার্ড ব্যবহার করে কিছু বহিরাগত লোকজন আমার ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেওয়ার পর বলছে তোমার দু'টি ভোট দেওয়া হয়েছে। আরেকটি ভোট দেওয়া লাগবে না।
তিনি আরো বলেন, আমি সকালে বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয়ের ভোট কেন্দ্রে গিয়েছি। দীর্ঘক্ষণ সেখানে অবস্থান করেছি। বেশকিছু অনিয়মের কথা প্রিজাইডিং অফিসারকে বলেছি। নৌকার লোকজন ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নিয়ে গোপন কক্ষে ভোট কারচুপি করে নিয়ে নিচ্ছে। পৌরসভার ১১ টি কেন্দ্রের সব কেন্দ্রের ভোটারদের অভিযোগ তাদেরকে নৌকাপ্রতিকের লোকজন ভোট দিতে দিচ্ছে না। সুষ্ঠু ভোটের পরিবেশ নেই কোন কেন্দ্রে। নারী ও পুরুষের লম্বা লাইন থাকলেও ভোট দিতে দেওয়া হচ্ছেনা। এ যেন ভোট ডাকাতির মহোৎসব। জনগণের স্বাধীনতাকে এখানে চরমভাবে খর্ব করা হচ্ছে। এভাবে তামাশার নির্বাচন হবে তা কল্পনা করিনি। আমি আপনাদের মাধ্যমে এ ভোট বর্জন করলাম।
তবে, আওয়ামীলীগের মেয়র প্রার্থী অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন বলেন, অনেক সুন্দর ভোট হচ্ছে। পরাজয় নিশ্চিত জেনে সরে পড়লেন স্বতন্ত্র প্রার্থী।
উল্লেখ্য, বাঁশখালী পৌর নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় মেয়র প্রার্থী হলেন অ্যাডভোকেট এসএম তোফায়েল বিন হোছাইন (নৌকা) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী কামরুল ইসলাম হোসাইনী (মোবাইল ফোন)। দুই মেয়র প্রার্থী ছাড়াও এবার সংরক্ষিত নারী কাউন্সিলর পদে ১০জন এবং সাধারণ কাউন্সিলর পদে ৪৪ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। মোট ২৬ হাজার নয়শত ৮০ জন ভোটার আছেন। তাঁদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ১৪ হাজার ৯৪ জন এবং মহিলা ভোটার ১২ হাজার ৮৮৬ জন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।