করোনার নতুন ভেরিয়েন্ট ওমিক্রন আক্রমণ ও শনাক্তের হার বৃন্ধি হওয়ায় দেশের সব স্কুল, কলেজ আগামী ২১ জানুয়ারি থেকে ৬ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ ঘোষণা করেছে সরকার৷ সংক্রমণ আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক৷
২০২০ সালের ০৮ই মার্চ সর্বপ্রথম বাংলাদেশে শনাক্ত হলে ১৭ই মার্চ থেকে বন্ধ ঘোষণা করা হয় সকল প্রকার শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকার পর গত বছরের অক্টোবরের শুরু থেকে খুলতে শুরু করে স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলো। দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকায় অনেকের বন্ধ হয়েছে পড়াশোনা আবার অনলাইন কার্যক্রমের কারণে সরঞ্জামের অভাবে পড়াশোনাও চালাতে পারেননি অনেক শিক্ষার্থী।
কিন্তু দীর্ঘদিন পরে স্কুল কলেজ খুললে আশার আলো দেখে সাধারণ শিক্ষার্থীরা। আবারও শুরু করার আশায় থাকে পড়াশোনা। কিন্তু সেই আশায় গুড়ে বালি। কেননা করোনার নতুন রুপ ওমিক্রনের সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় আগামী দুই সপ্তাহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
জামালপুর সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজের শিক্ষার্থী রায়হান সৌরভ পুণরায় বন্ধ হওয়ায় অনুভূতি প্রকাশ করে বলেন, "২০১৮ সালে ভর্তি হয়েছি অনার্সে আর এখনও দ্বিতীয়নবর্ষে। জানিনা আগামী কত বছর লাগবে অনার্স শেষ করতে।"?
অপরদিকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পাশ করা খায়রুজ্জামান বলেন,"২০১৯ সালে মাস্টার্স শেষ করেছি। তারপর থেকে চাকরির জন্য অপেক্ষা করছি। কিছুটা আশা পেয়েছিলাম কিন্তু এখন পুণরায় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করলো। চাকরির পরীক্ষাও হবে না।আর সরকারি চাকরির বয়সও প্রায় শেষ। এখন চিন্তায় আছি যে চাকরির পেছনে ঘুরবো না-কি বাড়িতে গিয়ে কৃষিকাজ শুরু করবো!"
শিক্ষার্থীদের সাথে অভিভাবকদের কপালেও রয়েছে চিন্তার ভাজ। কখন শেষ হবে করোনার ছোবল আর কবে নাগাদ তাদের সন্তানেরা পুণরায় পরিপূর্ণ আর দীর্ঘসময় ক্লাসে উপস্থিত থাকবে তারই আশায় বসে আছেন।
হুমায়ুন কবির মাসুদ,
শিক্ষার্থী, সাংবাদিকতা,
মিডিয়া ও যোগাযোগ,
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।