কাজিপুরে ওএমএস’র আটা-চাল নিতে উপচেপড়া ভিড়
🕧Published on:
কাজিপুর প্রতিনিধি:- সিরাজগঞ্জের কাজিপুরে প্রণোদনার ওএমএস এর আটা- চাল বিতরণের কেন্দ্রে নিম্ব আয়ের মানুষের উপচে পড়া ভিড় লক্ষ করা গেছে।
বরাদ্দকৃত চাল-আটা আগত অর্ধেক সুবিধাভোগীদের দিতেই ডিলারদের হিমসিম খেতে হচ্ছে। এতে করে সুবিধা বঞ্চিতরা বরাদ্দের পরিমাণ বাড়ানোর দাবি জানিয়েছেন। বিতরণকেন্দ্রে স্বাস্থ্যবিধি মানার কোন বালাই নেই।
কাজিপুর খাদ্য নিয়ন্ত্রক অফিসসূত্রে জানা গেছে, হতদরিদ্র মানুষদের মাঝে স্বল্পমূল্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচির আওতায় প্রণোদনার চাল ও আটা কাজিপুর পৌর সভার ৩ টি কেন্দ্র থেকে বিতরণ করা হচ্ছে। সপ্তাহে শুক্রবার বাদে প্রতিদিন কেন্দ্র প্রতি ১ মেট্রিকটন করে চাল ও আটা সরবরাহ করা হচ্ছে।
জন প্রতি ১৮টাকা মূল্যে ৫ কেজি আটা ও ৩০ টাকা মূল্যে ৫ কেজি করে চাল প্রদান করা হচ্ছে। বিতরণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ডিলারদের সাথে কথা বলে জানা গেছে, দরিদ্র মানুষগুলো স্বল্প মূল্যে চাল আটা নিতে ভোরে এসে লাইনে দাঁড়িয়ে যায়।
এতে করে লম্বা লাইনে তাদের দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। কিন্তু বরাদ্দকৃত চাল –আটা দ্বারা লাইনের অর্ধেক মানুষকেও বিতরণ করা যায় না।
ডিলারগণ জানান, বরাদ্দকৃত চাল আটা আগত অর্ধেক মানুষকেও দেয়া সম্ভব হয় না। ফলে প্রতিদিন অনেক লোক চাল আটা না পেয়ে খালি হাতে বাড়ি ফিরে যাচ্ছে।
সোমবার (৭ ফেব্রæয়ারি) পৌর মার্কেটে সামনে চাল আটা নিতে আসা আলমপুরের কাঞ্চন বিবি জানান, ‘আমরা গরিব মানুষ। এসময় হাতে কাম কাজ কম।
আয় ইনকামও কম। বাজারে চাল আটার দাম মেলা বেশি। তাই চাল আটা এল্লা কম দামে নিতে আছি। যদি আমাগোরে জন্য বেশি বরাদ্দ হইতো তালি পারে ভালো হয়।’
কাজিপুর উপজেলা গুদাম কর্মকর্তা(ওসি এলএসডি) মিজানুর রহমান জানান, চাল আটা নিতে কেন্দ্রগুলোতে ভিড় আমি দেখেছি। স্বাস্থ্যবিধি মানতে আমরা জনগণকে সতর্ক করি।
উপজেলা খাদ্য কর্মকর্তা আব্দুস সোবহান দীর্ঘলাইনের বিষয়টি স্বীকার করে জানান, বিষয়টি জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রককে জানানো হয়েছে।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।