কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে সবজি চাষে লাভবান কৃষক

S M Ashraful Azom
0
কুড়িগ্রামের চরাঞ্চলে সবজি চাষে লাভবান কৃষক



ডা: জি এম ক্যাপ্টেন, কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি : কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলগুলোতে বিভিন্ন ধরনের শাক-সবজি চাষ করে লাভের মুখ দেখছে কৃষকরা। 

আগে যেসব জমিতে ফলন হতো না, এখন সে সকল জমিতে পলি পড়ায় স্বল্প খরচে সব ধরনের সবজি চাষ করতে পারছে তারা। দামও পাচ্ছে ভালো। তবে কৃষকদের অভিযোগ মাঠ পর্যায়ে লাভবান হচ্ছে ফড়িয়ারা। তারা জোট বেঁধে কম দামে সবজি কিনে অধিক দামে বাজারে সরবরাহ করছে।

কৃষিবিভাগ বলছে আমরা পরামর্শ দিচ্ছি বিভিন্ন জেলায় সরাসরি সবজি পাঠিয়ে কৃষক পর্যায়ে লোকসান কমিয়ে আনার। এবারে চরাঞ্চলে আগামভাবে ৬ হাজার ৫৬০ হেক্টর জমিতে লাউ, বেগুন, শসা, করলা, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন আবাদ করা হচ্ছে। 

জানা যায়, কুড়িগ্রাম জেলায় সরকারিভাবে নদ-নদী রয়েছে ১৬টি। আর এসব নদীতে প্রায় ৪ শতাধিক চরে প্রায় ৫ লাখ মানুষের বসবাস। এসব নদ-নদী অববাহিকায় অবস্থিত চরগুলো প্রতিনিয়ত ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে ওঠে। কোথাও আবাদি জমিতে বালু পড়ে আবাদ নষ্ট করে দেয়, কোথাওবা বালু মাটিতে পলি জমিয়ে ফসল চাষাবাদের উপযোগী করে দেয়। কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার ভেতর দিয়ে প্রবাহিত ধরলা নদীর তীরবর্তী এলাকায় খোঁজ নিয়ে দেখা যায় দু’পাড়ে বালু মাটিতে একের পর এক জমিতে পলিমাটি পড়েছে। বিশেষ করে সদর উপজেলার কাঁঠালবাড়ী, হলোখানা, ভোগডাঙ্গা, কুড়িগ্রাম পৌরসভা, পাঁচগাছী ও মোগলবাসা ইউনিয়নের নদীতীরবর্তী এলাকায় পলি জমেছে। আর এসব পলিমাটিতে কৃষকরা চাষ করছে বিভিন্ন ফসল।

সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চর সারডোব এলাকায় গিয়ে দেখা যায় সবুজে সবুজে ছেয়ে গেছে গোটা গ্রাম। কৃষকরা বিভিন্ন জাতের সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছে। কেউ ফসল লাগাচ্ছে কেউবা ফসল তুলছে।

এই গ্রামের বাসিন্দা মোক্তার আলী জানান, এবার বন্যার পর বালু মাটিতে পলি জমাতে আমাদের খুব উপকার হয়েছে। যে জমিতে একবারও ফসল পাইনি, সেই জমিতে এবার যেন সোনা ফলেছে।

কৃষক আব্দুল খালেক জানান, আমি দুই বিঘা জমিতে শসা লাগিয়েছি। ফলনও ভালো হয়েছে। প্রথম দুই দফায় ভালো দাম পেয়েছি। এখন দাম কিছুটা কমের দিকে। গ্রামের সবজিচাষি ফরহাদ, জমির ও সোনাভান জানান, চরে বেশিরভাগ জমিতে ভুট্টা আর আলু চাষ করা হয়েছে। এছাড়াও বাকি জমিগুলোতে লাউ, বেগুন, শসা, করলা, মরিচ, পেঁয়াজ, রসুন আবাদ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।

জেলা কৃষি স¤প্রসারণ বিভাগের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. আব্দুর রশীদ জানান, কুড়িগ্রামে চরাঞ্চলের জমিগুলোতে পলি পড়ায় আগাম সবজি চাষ করে ভালো দাম পেয়েছে কৃষকরা। যারা দ্বিতীয় দফায় সবজি চাষ করেছে তারা কিছুটা কম মূল্য পাচ্ছে। আমরা কৃষক পর্যায়ে যোগাযোগের মাধ্যমে চেষ্টা করছি বেশি মূল্য পেতে। এজন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষি বিভাগ থেকে কাজ করা হচ্ছে।

 


শেয়ার করুন

-সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন
ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top