ছবিঃ নুরানী শিক্ষার্থী বেত্রাঘাতে গুরুতর আহত শিশু হোজাইফাতুল ইসলাম জাবেদ (৫)। |
শিব্বির আহমদ রানা : চট্টগ্রামের বাঁশখালীতে শ্রেণিকক্ষে দুষ্টামি করার অপরাধে হোজাইফাতুল ইসলাম জাবেদ (৫) নামে এক ছাত্রকে পিটিয়ে আহত করার অভিযোগে উঠেছে নুরানী মাদরাসার এক শিক্ষকের বিরুদ্ধে।
রোববার (২০ মার্চ) সকালে এই ঘটনা ঘটে। মারধরে গুরুতর আহত ছাত্রকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা প্রদান করেন।
আহত ছাত্র উপজেলার চাম্বল ইউনিয়নের পূর্ব চাম্বল বর্মোত্তর পাড়া 'বায়তুর রহমান মুহাম্মদিয়া মদিনাতুল উলুম'নামে একটি মাদরাসার নুরানী বিভাগে পড়তেন।
শিশুর পিতা মু. শাহজাহানের অভিযোগ, রোববার সকালে মাদরাসায় পড়া শেষে অন্যান্য ছেলেদের সাথে দুষ্টামি করে সে। ছোট বাচ্চার দুষ্টামি করার অপরাধে ওই মাদসার মাওলানা কলিম উল্লাহ নামে একজন সহকারী শিক্ষক বেত দিয়ে ছাত্রটিকে মারধর করেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাকে উদ্ধার করে বাড়িতে পৌঁছে দেয়। শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালে নিয়ে আসি।
শিশুর পিতা শাহজাহান আরো বলেন, 'বাচ্চাকে বেধড়ক মারপিটের কারণ জানতে চেয়ে মাদরাসা কমিটির সাথে কথা বলার সময় চড়াও হয়ে ওই হুজুর কেন অভিযোগ নিয়ে আসছি এই বলে আমাকে ঘুষি মারে, আমার বোন (ছেলের ফুফি) কে ধাক্কা মারে।
বাঁশখালী উপজেলা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার দিদারুল হক বলেন, ওই ছাত্রের হাত ও পিঠে মারধরের চিহ্ন রয়েছে। তাকে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। এখন সে আশঙ্কামুক্ত।
ওই মাদরাসার পরিচালনা কমিটির প্রচার সম্পাদক বলেন, শিশুকে মারধরের বিষয়ে আমরা অবগত হয়েছি। কেন, কি কারণে মারধর করছে তা জানি না। তবে শিশুর অভিভাবক ও মাদরাসার শিক্ষক নিয়ে এ বিষয়ে বসে একটি সমাধানের কথা রয়েছে।
আহত মাদরাসা ছাত্রের পিতা এ ঘটনার জন্য দায়ী শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেছেন।
বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল উদ্দিন বলেন, ঘটনাটি তাঁরা শুনেছেন। তবে এ বিষয়ে থানায় কেউ লিখিত অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে কথা বলার জন্য অভিযুক্ত শিক্ষকের মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।