মেহেদী হাসান : আজ ২৬ মার্চ মহান স্বাধীনতা দিবস। আমাদের বাংলাদেশে এই দিন টি কে জাতীয় দিবস হিসাবে পালন করা হয়। মহান মুক্তিযুদ্ধের ১১নং সেক্টরের হার্টবিট নামে পরিচিত বকশিগঞ্জের ঐতিহাসিক কামালপুর।
আজ যথাযথ মর্যাদায় পালিত হচ্ছে দিবস টি। সূর্যদোয়ের শুরুতে পুষ্পস্তবক অর্পণ, মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ভিত্তিক আলোচনা ও দোয়ার আয়োজন করা হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে বকশিগঞ্জ উপজেলার ইউএনও মনমুন জাহান লিজার সভাপতিত্ত্বে উপস্থিত ছিলেন, বকশিগঞ্জ থানা ওসি জনাব তরিকুল ইসলাম, বকশিগঞ্জ উপজেলার ভূমি কর্মকর্তা জনাব মাহবুর রহমান, কমান্ডার বীর মুক্তিযুদ্ধা জনাব মুজিবুর রহমান, ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের নব নির্বাচিত চেয়ারম্যান জনাব মশিউর রহমান লাকপতি, ধানুয়া কামালপুর কো-অপারেটিভ উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষাক জনাব ফরহাদ হোসেন, সহকারী প্রধান শিক্ষক জনাব মেসবাউল হোক তুহিন ও অন্যান্য শিক্ষক মন্ডলী। উক্ত আলোচনা সভায় মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে তুলে ধরে বক্তব্য রাখেন বকশিগঞ্জ উপজেলা ইউএনও মুনমুন জাহান লিজা। তিনি বলেন
১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ রাতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিজেদের স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু করে। ২৫ মার্চ রাতে গ্রেফতার হওয়ার পূর্বে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের অবিসংবাদিত নেতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আনুষ্ঠানিকভাবে এক তার বার্তায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। তার ডাকে বাংলার আপামর জনতা দীর্ঘ ৯ মাস রক্ত ক্ষয়ী যুদ্ধে লাল-সবুজের পতাকা ছিনিয়ে আনে। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযুদ্ধা জনাব আকরাম হাজী, কমান্ডার মুজিবুর রহমান সহ গণ্যমাণ্য ব্যক্তিবর্গ। বলাবাহুল্য বীর মুক্তিযুদ্ধাগণ তাদের বক্তব্যে মনের আক্ষেপ পেশ করেন, তারা জানান কামালপুর পর পর রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে স্বাধীন হওয়া মুক্তিযুদ্ধাদের স্মৃতির রক্ষার্থে স্মৃতি সৌধ নির্মান করা হয়। কিন্তু স্বাধীনতার ৫০ বছরে এসেও এই স্মৃতি সৌদ্ধের যথাযথ রক্ষণা-বেক্ষণা নেই। অনেকটাই অবহেলিত এই স্মৃতিস্তম্ভ। স্মৃতি সৌদ্ধের খুদায়কৃত বীর মুক্তিযুদদ্ধাদের নাম গুলা পর্যন্ত ওঠে গিয়েছে। স্মৃতি সৌদ্ধে এলাকার লোকজন গরু-ছাগল পালন করে, যা এক জন মুক্তিযুদ্ধার জন্য অবমাননাকর। বকশিগঞ্জ উপজেলার প্রশাসনের কাছে বিনিত অনুরোধ জানান বিষয় টি দ্রুত সমাধানের জন্য।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।