নূরুজ্জামান খান : জামালপুরের বকশীগঞ্জে প্রাইভেট ক্লিনিক এবং ডায়াগনস্টিক সেন্টারে টাস্কফোর্সের যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে। অভিযানে ৫ প্রতিষ্ঠানকে ৮৮ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। আজ বৃহস্পতিবার (২৬ মে) এ অভিযান চলে।
জানা যায়, বকশীগঞ্জ উপজেলায় অবৈধভাবে পরিচালিত ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে টাস্কফোর্সের সাঁড়াশি অভিযান পরিচালিত হয়।
পৌরশহরের ৪টি ক্লিনিক ও ১টি পোল্ট্রি ফার্ম এ অভিযান চলে। লাইসেন্স না থাকা, অপরিচ্ছন্ন ও লাইসেন্সের নবায়ন না থাকায় আবদুল হাই ডায়াগনিস্টক সেন্টারকে ৪০ হাজার টাকা, নূর ডায়াগনস্টিক কে ৭ হাজার টাকা, নিউ পপুলার ডায়াগনিস্টক সেন্টারকে ৬ হাজার টাকা ও আবির ডায়াগনস্টিককে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
এছাড়াও বকশীগঞ্জ কাঁচাবাজারের সামনে রোকনুজ্জামান নামে এক ব্যক্তি পোল্ট্রি মুরগির মাংস সিপি কোম্পানি-র নাম করে কোন অনুমোদন, লাইসেন্স বা কাগজ-পত্র ছাড়াই কেজি দরে বিক্রি করছিলো। ঐ ব্যক্তির বাড়ি ফুলবাড়িয়া, সে ত্রিশাল থেকে মাংস কিনে এনেছে বললেও উপযুক্ত কোন প্রমাণাদি উপস্থাপন করতে পারেনি। জবেহ করা এই মুরগির মাংস থেকে দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিলো যা মোবাইল কোর্ট পরিচালনার সময় জব্দ ও ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয়।
![]() |
জব্দকৃত মাংস মাটিতে পুঁতে বিনষ্ট করা হয় |
ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ আইন, ২০০৯ এর বিভিন্ন ধারায় আজ এই ব্যক্তিকে ২৫,০০০/- টাকা অর্থদণ্ড প্রদান করা হয় এবং ভবিষ্যতে যেন এ ধরণের কাজ না করে সেজন্য সতর্ক করে দেয়া হয়।
বকশীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুন মুন জাহান লিজা জানান, স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের জারিকৃত নতুন পরিপত্রের আলোকে গৃহীত সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই যৌথ অভিযান পরিচালিত হয়েছে।
অভিযানের সময় উপস্থিত ছিলেন বকশীগঞ্জ পৌর সভার মেয়র নজরুল ইসলাম, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আজিজুল হক ও বকশীগঞ্জ থানা পুলিশ।
ভুল তথ্য দেন কেন? নূর এ কি ইউ এন ওর অভিযান পরিচালিত হয়েছে?
উত্তরমুছুন