সেবা ডেস্ক : ইসলাম ধর্মের মৌলিক পাঁচটি নিষিদ্ধ কাজের অন্যতম হলো নেশা করা বা মাদকদ্রব্য গ্রহণ করা। এর মধ্যে মাদক ছাড়া অন্য চারটি ইচ্ছা করলে তা ছাড়া যায়। কিন্তু মাদক গ্রহণ এমন এক অপরাধ, যা নিজের নিয়ন্ত্রণে থাকে না; বরং সে নিজেই মাদক বা নেশার নিয়ন্ত্রণে চলে যায়। ফলে চাইলেই যখন-তখন সেখান থেকে বের হয়ে আসা যায় না।
অনেক সময় সে নেশাকে ছাড়তে চাইলেও নেশা তাকে সহজে ছাড়ে না বা ছাড়তে চায় না।
সব ধরনের মাদক পাপের আকর। মদ্যপ বা মাদকাসক্ত ব্যক্তি তওবা করারও সুযোগ পায় না এবং মাদক না ছেড়ে তওবা করলেও তা কবুল হয় না। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ১০২)।
কোরআন কারিমে বলা হয়েছে, ‘লোকেরা আপনাকে মদ ও জুয়া সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করে। বলুন, উভয়ের মধ্যে আছে মহাপাপ এবং মানুষের জন্য উপকারও; কিন্তু এগুলোর পাপ উপকার অপেক্ষা অধিক। (সুরা-২ বাকারা, আয়াত: ২১৯)।’
‘হে মুমিনগণ! মদ, জুয়া, মূর্তিপূজার বেদি ও ভাগ্যনির্ণায়ক তির (লটারি) ঘৃণ্য বস্তু, শয়তানের কার্য। সুতরাং তোমরা তা বর্জন করো, যাতে তোমরা সফল হতে পারো। (সুরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯০)।’
‘শয়তান তো মদ ও জুয়া দ্বারা তোমাদের মধ্যে শত্রুতা ও বিদ্বেষ ঘটাতে চায় এবং তোমাদের আল্লাহর স্মরণে ও সালাতে বাধা দিতে চায়। তবে কি তোমরা নিবৃত্ত হবে না (সুরা-৫ মায়েদা, আয়াত: ৯১)?’
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘কিয়ামতের কিছু নিদর্শন হলো ইলম বিলুপ্ত হবে, মূর্খতার বিস্তার ঘটবে, মদ্যপান ও মাদকের প্রসার হবে, ব্যভিচার ছড়িয়ে পড়বে (বুখারি, প্রথম খণ্ড, হাদিস: ৮০)।’
মিরাজ রজনীতে মহানবী হজরত মুহাম্মদ (সা.)-কে বিভিন্ন অপরাধে শাস্তি দেখানো হলো। তিনি মদ, মাদক ও নেশা গ্রহণকারীদের শাস্তি দেখলেন। তারা জাহান্নামিদের শরীর থেকে নির্গত বিষাক্ত নোংরা পুঁজ পান করছে। (বুখারি ও মুসলিম)।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।