স্টাফ রিপোর্টার : কাজিপুর উপজেলার সহকারি কমিশনার(ভূমি)ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট এবিএম আরিফুল ইসলাম বলেছেন, জমাজমি সংক্রান্ত পুরনো ধ্যাণ ধারণাকে পাল্টে দিতে বর্তমান সরকার বদ্ধ পরিকর। ভূমি সেবা সহজ করতে সরকারের গৃহিত নানা পদক্ষেপের সুষ্ঠু বাস্তবায়ন করতে কাজ করে যাচ্ছি।
এমনি করে প্রতিটি কর্মদিবসেই ভূমি সেবায় অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করতে চাই। এলক্ষ্যে সেবার মানসিকতা নিয়ে ভূমি সেবা সপ্তাহ শেষ হয়েছে। তবে সেবার মানসিকতা আমাদের কর্মে অনুপ্রেরণা জোগাবে। বিশেষ করে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ইতিবাচক পরিবর্তনের এই ধারাকে আমরা অনেকদূর এগিয়ে যেতে চাই।এবারের ভূমি সেবা সপ্তাহে জনগণকে ভূমি অধিকার সম্পর্কে সচেতন করা, ভূমি ব্যবস্থাপনায় দক্ষতা ও গতিশীলতা আনায়নের লক্ষ্যেই ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে আমরা কাজ করছি।
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে সোমবার অবধি চলা ভূমি সেবা সপ্তাহের সমাপনী অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন। ভূমি মন্ত্রণালয়ের সৃজিত এই সেবা সপ্তাহের প্রতিপাদ্য ছিলো ‘ভূমি অফিসে না এসেই ডিজিটাল ভূমি সেবা গ্রহণ।’
কাজিপুর উপজেলা ভূমি অফিস চত্বরে সেবা বুথে এ কার্যক্রম চলাকালে প্রায় পাঁচ শতাধিক মানুষ ভূমির নানামুখী সেবা পেয়েছেন জানিয়ে এসিল্যান্ড বলেন, ‘ ভূমি ব্যস্থাপনায় জনসচেতনতা বাড়াতে এবং হয়রানি কমিয়ে এ কাজে দক্ষতা ও গতিশীলতা আনতে সেবা সপ্তাহের এই আয়োজন সবার নজর কেড়েছে। তিনি আরও জানান, ভূমি সেবা সপ্তাহে উপজেলার ইউনিয়নসমূহের সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিস, স্থানীয় সম্মেলন কক্ষ কিংবা সুবিধাজনক স্থানে ক্যাম্প করে সেবা বুথ পরিচালিত হয়েছে। ওই বুথে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সেবাগ্রহীতারা ভূমি বিষয়ে নানা ধরণের পরামর্শসহ ভুমি সেবার নানা দিক সম্পর্কেও জনগণ জানতে পেরেছে। তবে সেবা সপ্তাহ শেষ হলেও আমাদের সেবার দ্বার উন্মুক্ত রয়েছে।
সরেজমিন সোমবার বিকেলে সেবা সপ্তাহের শেষ দিনেও দেখা গেছে ভূমি উন্নয়ন কর আদায় ও অনলাইনে ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ের লক্ষ্যে রেজিস্ট্রেশন, ই-নামজারির আবেদন গ্রহণ, ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তকৃত জমির কবুলিয়ত ও দলিল হস্তান্তর কার্যক্রম চলছে।
সেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে পুরো ভূমি অফিসটি সেজেছিলো উৎসবের রঙে। আর সুপরিসর ফুলের বাগান, লেন, বাতি, প্লাকার্ড, ফেস্টুন আর এসিল্যান্ডের নতুন সৃজনে নতুন লুকের ভূমি অফিসের বর্ণিল রঙ সেবাগ্রহিতাদের দৃষ্টি কেড়েছে।
সেবা সপ্তাহের সার্বিক বিষয়ে এসিল্যান্ড জানান, দিক নির্দেশনা দিয়েছেন সিরাজগঞ্জ জেলা প্রশাসক ড. ফারুক আহাম্মদ স্যার। আর নানা বিষয়ে পরামর্শ দিয়েছেন এডিসি রেভিনিউ স্যার ও কাজিপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদ হাসান সিদ্দিকী স্যার।
সব মিলে কাজিপুর উপজেলা ভূমি অফিসের আঙ্গিকগত দিকে যেমন এসেছে পরিবর্তন তেমনি ভূমি সংক্রান্ত সেবার কাজেও এসেছে গতিশীলতা, বদলে গেছে কাজের ধরণ। শতভাগ দুর্ণীতিমুক্ত এই অফিসের সেবা নিয়ে এখন অনেকেই নিজেদের জমিজমাকে নিরাপদ নিরাপদ ভাবতে শুরু করেছেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।