নন্দীগ্রাম (বগুড়া) প্রতিনিধি : বগুড়ার নন্দীগ্রামে অসামাজিক কর্মকান্ডে লিপ্ত থাকা অবস্থায় বিধবা মামী ও ভাগিনাকে আটকের পর বিয়ে দিয়েছেন গ্রাম্য মাতব্বরা। পৌর সদরের পাশ^বর্তী উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কৈগাড়ী সোনারপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
পরিবারের কাউকে না জানিয়ে তিন দফায় আইন বিরোধী গ্রাম্য সালিশ ও গোপনে বিয়ের পর মৃত মামার বাড়িতেই ভাগিনা দ্ইু সন্তানের জনক ড্রাইভার আব্দুস সালাম ও মামী হেনা বেগম অবস্থান করছে বলে অভিযোগ এনে থানায় মামলার আবেদন করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে থানায় ৬জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও ১০/১২জনকে বিবাদী করে এ অভিযোগ করেন কৈগাড়ী গ্রামের মৃত আশরাফ আলী আসকানের বড় ভাতিজা নজরুল ইসলাম। গ্রামের মাতব্বরদের বিরুদ্ধে অভিযোগ, রাতের বেলায় অনুমতি ছাড়াই বাড়িতে জোরপূর্বক প্রবেশ করে হট্রগোল, আইন বিরোধী সালিশ ও পরিবারের কাউকে না জানিয়ে গোপানে মামী-ভাগিনার বিয়ে দিয়ে মৃত আসকানের বাড়িতেই রাখা হয়েছে।
নন্দীগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অভিযোগ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, উপজেলার ভাটগ্রাম ইউনিয়নের কালিশ গ্রামের তাজু হোসেনের কন্যা হেনা বেগমের সঙ্গে বুড়ইল ইউনিয়নের কৈগাড়ী গ্রামের আশরাফ আলী আসকানের বিবাহের পর তাদের দাম্পত্য জীবনে এক কন্যা ও এক ছেলে সন্তান রয়েছে। কয়েকবছরপূর্বে কন্যার বিয়ে হয়েছে। গত দেড় বছরপূর্বে আসকান মারা যায়। এরপর থেকেই বিধবা হেনা মৃত স্বামীর বাড়িতেই শাশুড়ি ও ছেলে সন্তান নিয়ে বসবাস করছিলেন। ওই বাড়িতে একই গ্রামের রফিকুল ইসলাম মফিজের ছেলে ড্রাইভার আব্দুস সালাম আসা-যাওয়া করতো। একপর্যায়ে আসকানের বিধবা স্ত্রীর সঙ্গে ভাগিনার পরকিয়া সম্পর্ক গড়ে ওঠে। গত ২৫ জুলাই রাতে ওই বাড়িতে শয়ন ঘরে বিধবা মামীর সঙ্গে ভাগিনা অনৈতিক কর্মকান্ডে লিপ্ত হলে গ্রামের কয়েকজন মাতব্বরসহ স্থানীয়রা তাদের আটক করে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।