যে সকল গুনাহ আল্লাহ পাক কখনোই ক্ষমা করবেন না
🕧Published on:
সেবা ডেস্ক : মানুষ যতো বড় গুনাহ বা অপরাধই করুক না কেন, মহান আল্লাহর কাছে ক্ষমা চাইলে তিনি অপরাধের চেয়ে বড় ক্ষমা নিয়ে বান্দার কাছে উপস্থিত হন। তবে একটি গুনাহ ছাড়া। সেটি কোন গুনাহ?
শিরক মারাত্মক গুনাহ। পাহাড়সম অপরাধীর কাছে আল্লাহ পাহাড়সম ক্ষমা নিয়ে আসেন। যদি সে ব্যক্তি শিরককারী না হন। হাদিসের বর্ণনায় এমনটিই ঘোষণা করেছেন স্বয়ং নবিজি। হাদিসে পাকে এসেছে-
হজরত আবু যর রাদিয়াল্লাহু আনহু বর্ণনা করেছেন নবিজি ( সা.) বলেছেন, আল্লাহ তায়ালা বলেন, কেউ একটি নেক আমল করলে এর বিনিময় তাকে দশগুণ বা আরো বেশি সওয়াব দেবো। কেউ যদি একটি গুনাহ করে তাহলে এর বিনিময় কেবল একটি গুনাহ লেখা হবে বা আমি তাকে ক্ষমা করে দেবো। আর কেউ যদি আমার কাছে পৃথিবী সমান গুনাহসহ উপস্থিত হয় এবং আমার সঙ্গে কাউকে শরিক না করে থাকে, তাহলে আমিও ঠিক পৃথিবীর সমান ক্ষমা নিয়ে তার কাছে এগিয়ে যাবো।’ (বুখারি, মুসলিম, মুসনাদে আহমদ)
শিরকমুক্ত ব্যক্তির ক্ষমা কত সহজ। আল্লাহ তায়ালা শিরক গুনাহ ক্ষমা করবেন না। মানুষ শিরকের মাধ্যমে ইসলাম থেকে বের হয়ে যায়। এ জন্য আল্লাহ তায়ালা মানুষের কাছে যুগে যুগে অসংখ্য নবি-রাসুল এবং আসমানি কিতাব প্রেরণ করেছেন। যাতে মানুষ তার সঙ্গে কাউকে শরিক না করে।
উল্লেখিত হাদিস থেকেও প্রমাণিত যে, শিরক না করার মধ্যে রয়েছে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ফজিলত। এ কারণেই হজরত লোকমান আলাইহিস সালাম নিজ সন্তানকে শিরক না করার জন্য আহ্বান করেছেন। আর তা কোরআনে এভাবে তুলে ধরা হয়েছে-
یٰبُنَیَّ لَا تُشۡرِکۡ بِاللّٰهِ اِنَّ الشِّرۡکَ لَظُلۡمٌ عَظِیۡمٌ
‘প্রিয় বৎস, আল্লাহর সঙ্গে শিরক করো না; নিশ্চয়ই শিরক হল বড় জুলুম।’
আল্লাহ তায়ালা মুসলিম উম্মাহকে শিরকের গুনাহ থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
0comments
মন্তব্য করুন
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।