উল্লাপাড়া (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : সিরাজগঞ্জের উল্লাপাড়ায় রোববার মধ্যরাতে গোপনে বাল্যবিয়ে পরানোর সময় ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান চলিয়ে ভূয়া কাজী উপজেলার অলিপুর গ্রামের আব্দুস সামাদের ছেলে মাসুদ পারভেজ (২৭), সিরাজগঞ্জের কামারখন্দ উপজেলার বড়কুড়া গ্রামের সাইদুল ইসলামের ছেলে মৌলভী লিয়াকত হোসেন এবং কনের খালা উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের ফাতেমা খাতুনকে আটক করেন।
পরে এদের মধ্যে কাজী মাসুদ পারভেজকে ১ বছরের কারাদন্ড, মোল্লা লিয়াকতকে ১ মাসের এবং কনের খালা ফাতেমাকে ১ মাসের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করা হয়। উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন আদালতের বিচারক হিসেবে এ দন্ড প্রদান করেন। এসময় উল্লাপাড়া উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নিলুফা ইয়াসমিন, উল্লাপাড়া মডেল থানার উপ-পরির্দশক মাসুদ রানা ও ইউএনও’র ভ্রাম্যমান আদালত সহকারী শরিফুল ইসলাম উপস্থিত ছিলেন। ঘটনার সময় বিপদ বুঝে বর পক্ষের লোকজন দ্রুত পালিয়ে যায়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ উজ্জল হোসেন জানান, উল্লিখিত ভূয়া কাজী বড়হর ইউনিয়নের নিবন্ধিত কাজী মুরাদুজ্জামানের পক্ষে দীর্ঘদিন ধরে অপ্রাপ্ত মেয়েদের নিবন্ধিত করতে অভিভাকদের নিকট থেকে মোটা অংকের টাকা নিয়ে অবৈধ কাবিন নামা তৈরি করে আসছিলেন। উল্লিখিত লিয়াকত হোসেন এই কাজীর সঙ্গে থেকে বিয়ে পরাতেন। রোববার দিবাগত মধ্য রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তিনি তার সহকারীদের নিয়ে উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামে আব্দুল মমিন সরদারের বাড়িতে গিয়ে কাজী ও মৌলভীকে হাতে নাতে আটক করা হয়। ওই সময় মমিনের মেয়ে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী তানিয়া খাতুনের সঙ্গে উল্লাপাড়ার সলঙ্গা ইউনিয়নের ভরমোহনী গ্রামের সুলতান মিয়া নামের এক ছেলের বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। নির্বাহী কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার সময় অপ্রাপ্ত মেয়েকে বিয়ে দেওয়ায় সহযোগিতা করার জন্য কনের খালা ফাতেমা খাতুনকেও আটক করে ১ মাসের কারাদন্ড দেওয়া হয়েছে। ভ্রাম্যমান আদালত ঘটনার সময় ভূয়া কাজীর নিকট থেকে দুটি নিকা রেজিষ্টার ও কয়েকটি টালি খাতা জব্দ করেন। এ সময় কনের বাবার নিকট থেকে ১৮ বছরের আগে মেয়েকে বিয়ে না দেওয়ার মুচুলিকা নেওয়া হয়।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।