কাজিপুর (সিরাজগঞ্জ) প্রতিনিধি : কালেরকণ্ঠ, সেবা হট নিউজ, আজকের জনবানী ও কলসৈনিকসহ কয়েকটি অনলাইনে সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশের পর অবশেষে নির্মাণাধীন রাস্তা থেকে নিম্নমানের ইট ও খোয়া তুলে ফেলা হচ্ছে।
শনিবার(১৫ অক্টোবর) দুপুর থেকে ঠিকাদারের লোকজন নিম্নমানের খোয়া অপসারণ কাজ শুরু করেছে। এই কাজের তদারকি করছেন কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন।এতে করে ওই রাস্তায় চলাচলকারী জনগণ সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এর আগে সিরাজগঞ্জের এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী শফিকুল ইসলাম সরেজমিন সোনামুখী ভানুডাঙ্গা সড়কটি পরিদর্শন করেন। এসময় ওই কাজের দেখভালকারি পরিকল্পনা কমিশনের আইএমইডি টিমের প্রতিনিধিগণও উপস্থিত ছিলেন। তারাও ওই কাজের মান দেখে চরম অসন্তোষ প্রকাশ করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী সড়কের কাজে ব্যবহৃত নিম্নমানের সামগ্রী সরিয়ে নিতে সাতদিনের সময় বেধে দিয়েছিলেন। এসময় ওই রাস্তায় নিম্নমানের ইট ও খোয়া ব্যবহৃত অংশগুলো মেপে লাল নিশান পুতে চিহ্নিত করে দেন।
তিনহাজার তিনশ ৬০ মিটার ওই রাস্তাটির প্রশ্বস্তকরণ কাজ করছে মেসার্স এমএ ইঞ্জিনিয়ারিং কনস্ট্রাকশন। আট কোটি টাকা ব্যয়ে সোনামুখী জিসি-ভানুডাঙ্গা জিসি রাস্তাটির প্রশ্বস্তকরণ কাজটি শুরু হয় গত বছরের ২৬ সেপ্টেম্বরে। এবছরের ডিসেম্বরে কাজটি শেষ হবার কথা।
শুরু থেকেই ওই কাজের গুণগত মান নিয়ে বিস্তর অভিযোগ ছিলো।
সোনামুখী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শাহজাহান আলী খান জানান, ওই ঠিকাদারকে আমি নিজেও ভালো মানের ইট ব্যবহার করার কথা বলেছি। কিন্তু তারা কারো কথাই কানে নেয়নি।
এদিকে নিম্নমাণের কাজ বন্ধে কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলীর অফিস থেকে মোট ছয়বার কারণ দর্শানোর নোর্টিশ প্রদান করেছেন ওই ঠিকাদারকে। প্রতিবারই ভালো কাজ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে নিন্মমানের সামগ্রীতেই কাজ করেন ওই ঠিকাদার।এ নিয়ে কালের কণ্ঠে সংবাদ প্রকাশিত হলে নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ।
ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপক কামরুল ইসলাম জানান, “অফিসের নির্দেশনা মেনে রাস্তার চিহ্নিত অংশ থেকে ইট ও খোয়া অপসারণ করে সেখানে ভালোমানের খোয়া ফেলার কাজ শুরু করেছি।
কাজিপুর উপজেলা প্রকৌশলী জাকির হোসেন জানান, আমরা নিজেরা সরাসরি এই কাজের তদারকি করছি। আশা করি জনগুরুত্বপূর্ণ সড়কটির প্রশ্বস্তকরণ কাজ ভালোভাবে সম্পন্ন হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।