শফিকুল ইসলাম : রৌমারী ও রাজিবপুরে কীটনাশক ব্যবহারে কৃষকের সর্বনাশের অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ কৃষক বাদী হয়ে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যার প্রেক্ষিতে কৃষি কর্মকর্তা সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছেন।
ঘটনাটি ঘটেছে কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর বালিয়ামরাীনয়াপাড়া এলাকায়।
অভিযোগ ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবার সুত্রে জানা যায়, রৌমারী উপজেলার চরলাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের কৃষক ইজ্জত আলী, সোনা মিয়া এবং রাজিবপুর উপজেলার আব্দুর রশিদ, সুরুজ্জামান, আব্দুল বাছেদ, নুরুল ইসলাম, সাইদুর রহমান ও রফিকসহ আরো অনেকেই গম চাষে ঝুকে পড়ে। তারা আগাছা দমনের লক্ষে বালিয়ামারী বাজার থেকে কীটনাশক ডিলার নজরুল ইসলামের কাছ থেকে পদ্মা এগ্রো কোম্পানির গেøাডিনা কীটনাশক বিষ কিনে নিয়ে সঠিক পদ্ধতি ব্যবহার না করে গম ক্ষেতে স্প্রে দেন। এতে তাদের প্রায় ২০ বিঘা জমির ক্ষেতের ফসল পুড়ে যায়। এনিয়ে কয়েকজন কৃষক বাদী হয়ে কীটনাশক ডিলার নজরুল ইসলামের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাজিবপুর উপজেলার উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা জহুরুল ইসলামসহ ৪জনের একটি দল সরেজমিনে ক্ষতিগ্রস্ত পুরে যাওয়া ফসলের মাঠ পরিদর্শন করেন এবং বিষয়টি উদ্ধর্তন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানান।
এসময় কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন এবং কৃষক ইজ্জত আলী জানান, আশা করছি গম কাটিয়া বড় মেয়েটারে দিব বিয়ে। ভাগ্যের কি পরিহাস গম পুড়ে গেল। এখন কি করুম। একইভাবে অন্যান্য ক্ষতিগ্রস্থ গম চাষীরা নানা কথা জানালেন।
রাজিবপুর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম জানান, কৃষকরা আমাদের পরামর্শ ছাড়া এই কীটনাশক ব্যবহার করা ঠিক করেনি। তবে কীটনাশকটি নকল কি না তা যাচাই-বাছাই করে দোষীসাবস্ত হলে ডিলারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।