রৌমারী উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক হতে চান খোকা

S M Ashraful Azom
0

 : কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলন শেষ হলেও এখনও কমিটি ঘোষনা দেয়নি নীতিনির্ধারকরা। নানা কারণে উপজেলা আওয়ামীলীগের কমিটি ঝুলন্ত রয়েছে। সৎ ও যোগ্য ব্যক্তি দেখে দ্রুত কমিটি দেওয়ার জোরদাবি করেছেন রাজু আহমেদ খোকা।

রৌমারী উপজেলা আ’লীগের সম্পাদক হতে চান খোকা



 তিনি এবারের সম্মেলনে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক পদের জন্যে রাজনীতির ক্যারিয়ার জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) জমা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধিকে। রাজু আহমেদ খোকা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ রৌমারী সদর ইউনিয়ন শাখার বর্তমান সফল সভাপতি।

সার্বিক বিষয়ে কথা হয় রাজু আহমেদ খোকার সঙ্গে। তিনি বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগে সৎ যোগ্য নেতৃত্ব এখন সময়ের দাবি। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও বিতর্কিতদের দলের নেতৃত্বে আর দেখতে চান না। তাই তিনি নিজের দল থেকেই প্রথমে শুদ্ধি অভিযান শুরু করেছেন।

নিজেকে সৎ, যোগ্য ও দায়িত্বশীল দাবি করে রাজু আহমেদ খোকা বলেন, আমি দলে অনুপ্রবেশকারী নই। ছাত্রজীবন থেকে সততার সঙ্গে রাজনীতি করে যোগ্যতার পরিচয় দিয়েছি। টেন্ডারবাজি , চাঁদাবাজি এবং মাদক ও ক্যাসিনোর সঙ্গে কখনও নিজেকে জড়াইনি। 

নিজের কাছে আপনি যোগ্য প্রাথী কি না, এমন প্রশ্নে জবাবে খোকা বলেন, ‘বর্তমান সময়ের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে দেশবাসী ও আওয়ামীলীগের কেন্দ্রীয় হাইকমান্ড ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধিরা যেমন ব্যক্তিত্ব খুঁজছে, তাই আমি মনে করি প্রতিটি ক্ষেত্রেই যোগ্য হওয়ায় সাধারণ সম্পাদক পদ পেতে পারি। 

সাধারণ সম্পাদক মনোনিত হলে আপনার পরিকল্পনা কি জানতে চাইলে তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা মোতাবেক উপজেলা আওয়ামীলীগকে ঢেলে সাজানো হবে। ইউনিয়ন  ও ওয়ার্ড পর্যায় থেকে সম্মেলনের মাধ্যমে দলকে গঠন করতে চাই। কাজে যোগ্যতা নির্ভর করে আদর্শের প্রতি, নেত্রীর প্রতি, দলের প্রতি তাদের কতখানি শ্রদ্ধা আছে এ বিষয়ে উপর জোর দিয়ে নেতৃত্ব দেওয়া হবে।

উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারের চায়ের দোকানে ওয়ার্ড পর্যায়ের নেতাকর্মিসহ সাধারণ মানুষজন বলছেন যে, রাজুৃ আহমেদ খোকা একজন দায়িত্বশীল নেতা তার হাত ধরেই এ উপজেলার আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগসহ অঙ্গসংগঠন কলংকিত হবে না। বরং তার দ্বারা সকল কর্মকান্ডসহ সুশৃঙ্খলভাবে এ দল সুনাম অর্জন করবে। তারা আরও বলেন, বিএনপি ও জামাতসহ যে কোন আন্দোলন প্রতিহত করতে পারবেন খোকা।

রাজু আহমেদ খোকা বলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সম্মেলনে প্রথমে সাধারণ সম্পাদক পদে আমার নাম ঘোষনা করেন কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা নেতারা। কিন্তু সাবেক সভাপতি ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন আমার পদ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। পরে প্রতিমন্ত্রী পছন্দের প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন সবুজকে সাধারণ সম্পাদক হিসেবে নামের তালিকা কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের প্রতিনিধিকে দেন। কিন্তু সাখাওয়াত হোসেন সবুজ একটি হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামী হওয়ায় তখন স্থানীয় নেতাকর্মিরা ক্ষিপ্ত হলে কমিটি ঘোষনা না দিয়ে চলে যান কেন্দ্রীয় ও জেলা আওয়ামীলীগের নেতারা।   

প্রসঙ্গত. এক সপ্তাহ অতিবাহিত হলেও উপজেলা আওয়ামীলীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়নি। এ নিয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগসহ সকল অঙ্গ সংগঠনের মাঝে চলছে ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা। সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক পদে ৩৬ জন জীবনবৃত্তান্ত জমাদেন। যাচাইবাচাই করে এদের মধ্যে খসরা ৪ জনের নাম উল্লেখ করেন কেন্দ্রীয় নেতা ও জেলা নেতা প্রতিনিধিরা। রাজু আহমেদ খোকা বাদে বাকি তিনজনের নামে বিভিন্ন অভিযোগ রয়েছে। ৭ বছর পর চলতি বছরের গত ২৮ নভেম্বর এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

ট্যাগস

Post a Comment

0Comments

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

Post a Comment (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top