নিজস্ব প্রতিবেদক : জায়গা জবরদখলে ব্যর্থ হয়ে বগুড়ায় সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়ার বিরুদ্ধে লাগাতার মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের নেপথ্যে রাজনৈতিক দলের পদধারী মাফিয়াদের মদদ রয়েছে।
সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া |
সাংবাদিককে ফাঁসানোর চেষ্টা করছে। বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলার বুড়ইল ইউনিয়নের কৈগাড়ী সোনারপাড়া এলাকার শেরপুর সড়ক ঘেঁষা ৯০শতাংশ সম্পত্তি সংক্রান্ত ঘটনা বর্তমানে ব্যক্তি আক্রমণে রুপ নিয়েছে। প্রতিপক্ষ রহমতুল্লাহসহ তার ছেলে দাদন ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম ও ডাক্তার পরিচয়ধারী হারবাল গোলাম রসুলকে ব্যবহার করে সাংবাদিককে ফাঁসাতে ভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করা হচ্ছে। সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের নির্বাচিত দপ্তর সম্পাদক ও বাংলাদেশ নিউজ পোর্টাল অ্যাসোসিয়েশনের কেন্দ্রীয় সদস্য। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিকে কর্মরত থাকাকালে অনিয়ম, মাদক কারবারি, জুয়া ও মাফিয়া চক্রের বিরুদ্ধে সংবাদ লিখেছেন। বর্তমানেও জাতীয় দৈনিকের প্রধান প্রতিবেদক।
সাংবাদিক নেতারা বলছেন, সাংবাদিক নজরুলকে ফাঁসানোর চেষ্টার নেপথ্যে পশুর হাটের অসাধু সিন্ডিকেট, মাদক কারবারি ও ভূমিখেঁকো মাফিয়ারা রয়েছে।
নির্ভরযোগ্য সুত্র জানায়, ১৯৭৪ সালের ১ মার্চের ১০২৩নং দলিলের ওই সম্পত্তির বিষয়ে সাংবাদিক নজরুলের পিতা আব্দুর রাজ্জাকের দায়েরকৃত রেকর্ড সংশোধনী মামলা আদালতে বিচারাধিন রয়েছে। সাংবাদিক পরিবারের দীর্ঘদিনের ভোগদখলকৃত সম্পত্তি জবরদখলের চেষ্টা করছে মাফিয়া চক্র। সম্পত্তির ওপর খড়ের পালা রেখে তিনদিনের মাথায় দু’দফায় রাতের আধাঁরে নিজেরাই আগুন ধরিয়ে দিয়ে থানায় মিথ্যা অভিযোগে মামলা দায়েরের চেষ্টায় ব্যর্থ হন প্রতিপক্ষরা। এনিয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। সাংবাদিক নজরুল মূল বাঁধা, এজন্য তাকে ফাঁসানোর পরিকল্পনা। পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে সাংবাদিককে দু’দফায় অপহরণের চেষ্টার ঘটনা ঘটে। মিথ্যাচার, অপপ্রচার ও ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে নিরুপায় সাংবাদিক নজরুল ইসলাম দয়া গত ২৮ নভেম্বর ৭জনের নাম উল্লেখ করে থানায় জিডি করেছেন। তবুও নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কা কাটেনি। থানা পুলিশকে প্রভাবিত করার চেষ্টায় ব্যর্থ হয়ে রাজনৈতিক পদধারী মাফিয়াদের পরামর্শে ওই সম্পত্তির প্রতিপক্ষ আব্দুর রহিম ২৯ নভেম্বর বগুড়া প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে সাংবাদিক নজরুলের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার করে। শিক্ষাগত যোগ্যতাসহ নানাভাবে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা করা হয়। সম্পত্তির বিষয়ের সঙ্গে ব্যক্তি আক্রমণের মিথ্যাচার যাচাই না করেই অপপ্রচার শুরু হয়।
এদিকে মিথ্যাচারের প্রতিবাদে ৩০ নভেম্বর নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন সাংবাদিকের পিতা আব্দুর রাজ্জাক। তিনি দাবি করেন, তার ছেলের বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ তোলা হচ্ছে সবই ভিত্তিহীন এবং ষড়যন্ত্র। প্রতিপক্ষ আব্দুর রহিম একজন দাদন ব্যবসায়ী, তার ভাই গোলাম রসুল ডাক্তার না হয়েও নিজের নামের আগে ডাক্তার উল্লেখ করে যৌন উত্তেজক ট্যাবলেট এবং নেশাজাতীয় ওষুধ বিক্রি করে। সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মিথ্যাচার, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচারের প্রতিবাদে বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) নন্দীগ্রাম সদরের বাসস্ট্যান্ডে বগুড়া-নাটোর মহাসড়কে প্রেসক্লাবসহ তিনটি সাংবাদিক সংগঠন ও পত্রিকার এজেন্টরা ঐক্য গড়ে যৌথ মানববন্ধন করে। তারা বলেন, সাংবাদিক নজরুল পুলিশের সোর্স নন। তার বিরুদ্ধে থানায় কোনো মামলা হয়নি। ছবি এডিটিং করে গ্রেফতার গুজব ছড়ানো হয়েছে। প্রমাণছাড়া চাঁদাবাজির অভিযোগও ভিত্তিহীন। এ মিথ্যাচার ষড়যন্ত্র প্রতিহত করা হবে। ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থাসহ অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়। অন্যথায় বৃহত্তর কর্মসূচির হুশিয়ারি দেন সাংবাদিক নেতারা। এছাড়া এক বিবৃতিতে এ ঘটনার উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নন্দীগ্রাম উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি মো. বকুল হোসেন, সাবেক সভাপতি ফজলুর রহমান, সহ সভাপতি জুলফিকার আলী ভূট্রো, সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ কামাল ফারুক, যুগ্ম সম্পাদক আকতার হোসেন দুলাল, সিনিয়র সাংবাদিক নাজির হোসেন, নুর মোহাম্মদ বাদশাসহ সকল সাংবাদিক।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।