সেবা ডেস্ক : জামালপুরের বকশীগঞ্জে পৌষের হিমেল হাওয়ায় শীতের তীব্রতা বেড়েছে। গত দুই দিন থেকে বকশীগঞ্জের সীমান্তবর্তী গারো পাহাড়ি জনপদ ও নদী বেষ্টনী এলাকা গুলোতে কন কনে শীত বিরাজ করছে।
গারো পাহাড়ের হিমেল হাওয়ায় বিপাকে পড়েছেন এই এলাকার মানুষ। রাতের বেলায় প্রচন্ড কুয়াশা ও সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ঠান্ডা আবহাওয়া বিরাজ করছে। সারাদিন সূর্যের দেখা মিলছে না এই উপজেলায়। যে যার যার মত গরম কাপর চোপর ব্যবহার ও খড় খুটো জ্বালিয়ে শীত নিবারণের চেষ্টা করে যাচ্ছেন। তীব্র শীতের কারণে শ্রমজীবী মানুষ সঠিক সময়ে কাজে যেতে পারছেন না। সন্ধ্যা হলেই পৌর শহরে লোকসমাগম কমে যাচ্ছে । বেশি প্রয়োজন না হলে শীতের মধ্যে কেউ ঘর হতে বের হচ্ছে না।
এদিকে কনকনে শীত ও বৈরি আবহাওয়ার কারণে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ঠান্ডাজনিত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে শিশু ও বয়োবৃদ্ধরা ঠান্ডাজনিত রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) মো. মজনুর রহমান জানান, শীত নিবারণের জন্য একটি পৌরসভা ও ৭ টি ইউনিয়নে এখন পর্যন্ত তিন হাজার ৮০০ টি কম্বল বরাদ্দ পাওয়া গেছে। উপজেলা প্রশাসন ও ইউপি চেয়ারম্যানরা এসব কম্বল বিতরণ করছেন। এছাড়াও আরও কম্বলের চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মুন মুন জাহান লিজা জানান, কয়েকদিন থেকে দিনে ও রাতে ঘন কুয়াশা ও শীত বেড়ে গেছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বিভিন্ন ইউনিয়নে ঘুরে ঘুরে যার প্রয়োজন তাকেই কম্বল পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।