বকশীগঞ্জে শীতে কদর বেড়েছে হেলালের ঐতিহ্যবাহী মিল্লি!

🕧Published on:

 : শুরু হয় অগ্রহায়ণে। কিন্তু পৌষ ও মাঘ মাস এলেই ব্যস্ততা বেড়ে যায় হেলাল মিয়ার। যেন ঘরে বসে থাকার সময় নেই তার। প্রতিদিন কোন না কোন গ্রামে তরকারি রান্না করার দায়িত্ব পান তিনি।

বকশীগঞ্জে শীতে কদর বেড়েছে হেলালের ঐতিহ্যবাহী মিল্লি!



 বলছিলাম জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের কামালপুর গ্রামের মো. হেলাল মিয়ার কথা। হেলাল মিয়া পেশায় একজন বাবুর্চী। তিনি বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এ দীর্ঘদিন বাবুর্চী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। অবসর নেওয়ার পরও সেই পেশা ধরে রেখেছেন ষাটোর্ধ্ব হেলাল মিয়া। 

জামালপুরের ঐতিহ্যবাহী মিল্লি তরকারি রান্না করে অনেক খ্যাতি অর্জন করেছেন তিনি। সারা বছরই গ্রামে গঞ্জে ছুটে বেড়ান চল্লিশা (মজলিস), মিলাদ, বিয়ের অনুষ্ঠানে রান্না করতে।

বিশেষ করে মিল্লি তরকারি রান্না করে এলাকায় নামডাক , জশ তৈরি করেছেন হেলাল মিয়া। মিল্লিকে স্থানীয় লোকজন পিঠালি, কেউ আবার মেলানি বলেও চেনেন। 

গরু বা মহিষের মাংস এবং চালের আটা দিয়ে মিল্লি তৈরি হয়। বকশীগঞ্জ উপজেলায় শীতের দিন এলেই রান্না করা তরকারি মিল্লির কদর বেড়ে যায়। 

ধানুয়া কামালপুর ইউনিয়নের কামালপুর মোড়ে নিজের হাতে রান্না করা মিল্লি তরকারি বিক্রি করছিলেন হেলাল মিয়া। তার সঙ্গে সহকারী ছিল আরো দুই জন। প্রতি কেজি তরকারি বিক্রি হচ্ছিল ১৫০ টাকায়।

সকালে গরু জবাই করে মিল্লি তরকারি রান্না করেন তিনি। যে যার মত সামর্থ্য অনুযায়ী ৫ কেজি, ১০ কেজি , ২০ কেজি পর্যন্ত তরকারি নিয়ে যাচ্ছেন। অনেকেই জামাই, বেয়াই ও আত্মীয় স্বজনের বাড়িতে তরকারি কিনে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। হেলাল মিয়ার রান্না করা মিল্লি নিতে হলে আবার আগে ভাগেই বলে রাখতে হয় ।

তা না হলে সহসাই পাওয়া খুবই কষ্টকর হয় তরকারি কিনতে। কারণ শীতের দিনে হেলালের মিল্লির চাহিদা বেড়ে যায় বহুগুণ। বিভিন্ন উপজেলা থেকে এসেও এই তরকারি নিয়ে যান ভোজন প্রেমিরা। 

সাধারণত প্রতি শনিবার কামালপুর মোড়ে বিক্রি হয় হেলালের মিল্লি। এই মিল্লি এতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে যে দূরদূরান্ত থেকে ফোন করে অর্ডার দিয়ে তরকারি নিয়ে যান। এই তরকারি বিক্রি করেই বাজিমাত করেছেন হেলাল মিয়া। 

মিল্লি বিক্রি কেমন চলছে জানতে চাইলে হেলাল মিয়া জানান, শীত এলেই তার রান্না করা মিল্লি তরকারি কিনতে মানুষের ভিড় বাড়ে।

মিল্লি তরকারি এই এলাকার মানুষের ঐতিহ্যবাহী খাবার। ছোট বড় , সকল শ্রেণির মানুষ এই তরকারি খেতে পছন্দ করেন তাই তিনি এই ঐতিহ্য ধরে রেখেছেন। 


শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।