বেওয়ারিশ বকনা গরুটি অবশেষে বিক্রি: টাকা গেলো তিন মসজিদে

🕧Published on:

 : একটানা ৪৫ দিন গরুটির প্রকৃত মালিককে খোঁজা হয়েছে। এজন্যে পাড়া, গ্রামের মসজিদের মাইকে ঘোষণা দেয়া হয়। এরপর হারানো বিজ্ঞপ্তি আকারে পুরো এলাকাব্যাপী গরুটির মালিকের সন্ধান চেয়ে প্রচারণা চালানো হয়। কিন্তু কোনভাবেই মালিকের সন্ধান মেলেনি।

বেওয়ারিশ বকনা গরুটি অবশেষে বিক্রি টাকা গেলো তিন মসজিদে



অবশেষে গত বুধবার(২৫ জানুয়ারি) রাতে উন্মুক্ত দরে গরুটি বিক্রি করে এর অর্থ স্থানীয় তিনটি মসজিদে দান করা হয়েছে। সিরাজগঞ্জের কাজিপুর উপজেলার চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়নের হাজরাহাটি গ্রামে এই ঘটনা ঘটেছে।

স্থানীয়স‚ত্রে জানা গেছে, গত ১৪ ডিসেম্বর ভোরে বাড়ির পাশে বীজতলা তৈরি করছিলেন হাজরাহাটি গ্রামের দেলোয়ার হোসেন। এসময় তিনি হালকা লাল বর্ণের প্রায় ১৪/১৫ মাস বয়সী একটি বকনা গরু ঘোরাফেরা করতে দেখেন।এসময় তার পাশে কাজ করছিলেন ছিলেন একই গ্রামের ওসমান, মান্নান ও খালেক। তারাও তাৎক্ষণিক গরুটি কার সনাক্ত করতে ব্যর্থ হন। এদিকে ক্ষেত নষ্ট করছিলো গরুটি। পরে তাদের সামনেই দেলোয়ার গরুটি নিজ বাড়িতে নিয়ে বেধে রাখেন। গরুটির মালিকের সন্ধানে কয়েকদিন একটানা মাইকে প্রচার চালানো হয়। কিন্তুেএর মালিককে পাওয়া যাচ্ছিল না। এদিকে আশপাশের লোকজন দেলোয়ারকে ভয়-ভীতি দেখাতে থাকে। 

পরে দেলোয়ার স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসেন আলীর পরামর্শে চালিতাডাঙ্গা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুলকে জানান।চেয়ারম্যান সব শুনে বুধবার রাতে উন্মুক্ত দরে গরুটি বিক্রি করে সেই অর্থ স্থানীয় তিনটি মসজিদে দান করেন।

দেলোয়ার হোসেন বলেন, ‘গরুটির জন্যে আমার মেলা(অনেক) ঝামেলা গেলো। অনেকে এসে বিভিন্নভাবে ভয়ভীতি দেখাইতো। আমাগোরে চেয়ারম্যানকে জানাইলে তিনি এলাকার মাতবরদের নিয়ে বইসা এই ব্যবস্থা করে দিয়েছেন।’

স্থানীয় ইউপি সদস্য হোসেন আলী বলেন, মালিকের সন্ধান চেয়ে এলাকায় মাইকিংও করেছেন হোসেন। কিন্তু গরুটির মালিক পাওয়া যায়নি। এ অবস্থায় চেয়ারম্যানের সহযোগিতা নিয়ে গরুটি বিক্রি করা হয়েছে। সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই টাকা মসজিদে দিয়েছি।’

চালিতাডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান আতিকুর রহমান মুকুল বলেন, ‘অনেক চেষ্টা করেও দোলোয়ার গরুর মালিকের সন্ধান পাননি। তিনি গরুটি নিয়ে বিড়ম্বনা পোহাচ্ছিলেন। আমি জেনে সরেজমিন গিয়ে উপস্থিত সবার সম্মতিক্রমে গরুটি বিক্রি করে দেই। বিক্রির ৪৪ হাজার ৫০০ টাকার মধ্যে ৩০ হাজার স্থানীয় তিনটি মসজিদে দান করে বাকি টাকা খরচা বাবদ দেলোয়ারকে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।’



শেয়ার করুন

সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশে আপোষহীন

0comments

মন্তব্য করুন

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।