শফিকুল ইসলাম : কুড়িগ্রামের রৌমারী ও রাজিবপুর উপজেলায় ভুট্টার বাম্পার ফলন হলেও ন্যায্য দাম না পেয়ে লোকসানের আশঙ্কা করছেন চাষিরা। চৈত্র মাসের শুরুতেই ভুট্টা কাটামাড়াই শুরু হয়েছে।
পাইকারিরা গ্রামে গ্রামে গিয়ে কাঁচা ভুট্টা কিনতেন এবং অগ্রিম টাকাও দিতেন ভুট্টা চাষিদের হাতে। প্রথম দিকে ভুট্টা বিক্রি করা হতো প্রতিমন ১১’শ থেকে সাড়ে ১২’শ টাকা পর্যন্ত।
হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় হতাশায় রয়েছেন ভুট্টা চাষিরা। বর্তমান উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজারে ভুট্টা বিক্রি হচ্ছে প্রতিমন ৭৫০ থেকে ৮০০ টাকা।
জ্বালানী তেল, সার, কীটনাশকসহ বিভিন্ন জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি হওয়ায় কৃষকরা তাদের জমিতে ইরি আবাদ ছেড়ে দিয়ে গত ২ বছর থেকে ভুট্টা চাষে ঝুকছে তারা। ইরি আবাদের চেয়ে ভুট্টা চাষে খরচ কম এবং লাভ বেশি হতো।
কৃষকদের অভিযোগ ভুট্টা ক্রেতারা সিন্ডিকেট তৈরি করে বাজার দর কমে দিয়েছে। এবার গত বছরের চেয়ে ভুট্টা চাষে লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে গেছে।
উপজেলার সীমান্তঘেষা আলগারচর গ্রামের ভুট্টা চাষি ছফিউল ইসলাম বলেন, তেল ও সারের দাম বেশি হওয়ায় ইরির আবাদ ছেড়ে দিয়ে বুক ভরা আশা নিয়ে ২ বিঘা জমিতে ভট্টা চাষ করেছি। ভুট্টার ফলন ভালো হলেও দাম কম।
লাঠিয়ালডাঙ্গা গ্রামের আলহাজ্ব জয়নাল আবেদীন জানান, অনেক আশা নিয়ে ৪ বিঘা জমিতে ভুট্টা চাষ করেছি। কয়েকদিন আগে মনপ্রতি ১২’শ টাকা বিক্রি করেছি। কিন্তু হঠাৎ করে দাম কমে যাওয়ায় লোকসান গুনতে হচ্ছে। সরকারি ভাবে ভুট্টা ক্রয় করলে আমরা ন্যায্য দাম পেতাম। তাই সরকারি ভাবে ভুট্টা ক্রয় করার জন্য দাবী করছি।
রৌমারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কাইয়ুম চৌধরী বলেন, রৌমারী উপজেলায় এবার বিভিন্ন জাতের ভুট্টার লক্ষমাত্রা ছিল ৪ হাজার ৮৬০ হেক্টর। তবে আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় লক্ষমাত্রা ছাড়িয়ে দ্বিগুন উৎপাদন হয়েছে। গত সপ্তাহে ভারি বৃষ্টি ও বাজারে আমদানী বেশি হওয়ায় ভুট্টার দাম কমে গেছে। তবে দাম বাড়ার সম্ভবনা রয়েছে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।