সেবা ডেস্ক: বিডিআর বিদ্রোহের (পিলখানা ট্র্যাজেডি) ১৫ বছর পূর্তি আজ। এ উপলক্ষে পিলখানা হত্যাকাণ্ডে শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়েছে।
রোববার সকাল ৯টা ৮ মিনিটে বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহিদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে নিহতদের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বনানীর সামরিক কবরস্থানে শহিদদের কবরে প্রথমে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন রাষ্ট্রপতির পক্ষে রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। পরে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সামরিক সচিব মেজর জেনারেল কবীর আহমেদ শহিদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
এরপর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান অ্যাডমিরাল মোহাম্মদ নাজমুল হাসান, বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল শেখ আব্দুল হান্নান, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তাফিজুর রহমান প্রমুখ শ্রদ্ধা নিবেদন করেন।
তিন বাহিনী প্রধানের পর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবের পক্ষে জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব ও বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান সিদ্দিকী শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন শহীদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা।
পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে শহিদদের প্রতি সম্মান প্রদর্শনে এ সময় এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এবং কর্মরত সামরিক সদস্য স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহিদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। এ সময় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর ঊর্ধ্বতন সামরিক কর্মকর্তা, জেসিও এবং অন্যান্য পদবির সেনাসদস্য, শহিদ পরিবারের সদস্য ও নিকট আত্মীয়রা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি তৎকালীন বিডিআর (বর্তমানে বিজিবি) সদর দপ্তরে বিপথগামী সদস্যরা কিছু দাবি-দাওয়া আদায়ের নামে অগ্নিসংযোগ, লুটপাট ও নির্মম হত্যাযজ্ঞের মাধ্যমে তাণ্ডব চালায়। এতে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন হত্যাকাণ্ডের শিকার হন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।