শফিকুল ইসলাম: অটোবাইক চালককে পিটিয়ে যাত্রী ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে সিএনজি চালকদের বিরুদ্ধে। এতে রবিউল (৩৫), সোহেল রানা দোহা (২২) ও নুরুজ্জামান (২৫) আহত হয়।
আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এঘটনায় অটোবাইক ও সিএনজি শ্রমিকদের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। বুধবার বিকাল সাড়ে ৩ টার দিকে জামালপুর জেলার দেওয়ারগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর নিমাইমারী এলাকায় এঘটনাটি ঘটে।
প্রত্যেক্ষদর্শিরা জানান, ২১ জন যাত্রী রৌমারী থেকে জামালপুর যাওয়ার উদ্দেশ্যে রৌমারী সিএনজি স্টেশনে যায় এবং সিএনজি চালকের সাথে ভাড়া নিয়ে কথা হচ্ছিল।
সিএনজি চালক জনপ্রতি যাত্রীদের কাছ থেকে ৩’শ টাকা ভাড়া চান। যাত্রীরা ৩’শ টাকা ভাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তারা অটোবাইক চালকের সাথে ভাড়া নিয়ে কথা বলেন।
অটোবাইক চালক যাত্রীদের রৌমারী থেকে জামালপুরে নিয়ে যেতে জনপ্রতি ২’শ টাকায় ঠিক হয়। পরে ৩টি অটোবাইকে ২১ জন যাত্রী নিয়ে জামালপুর জেলার উদ্দেশ্যে রওনা দেন। এঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে আনোয়ার হোসেন, বাবু মিয়া, রফিক ও হারুন সহ কয়েকজন সিএনজি চালক অটোবাইকের পিছনে পিছনে রওনা দেন।
অটোবাইক চালকরা দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার ডাংধরা ইউনিয়নের বাঘারচর নিমাইমারী এলাকায় পৌছামাত্রই সিএনজি চালক তাদের পথগতিরোধ করেন এবং বেধরক মারপিট করে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে নেন। মারপিটে রবিউল ইসলাম, সোহেল রানা দোহা ও নুরুজ্জামান আহত হয়। পরে স্থানীয়রা আহতদের উদ্ধার করে রৌমারী হাসপাতালে ভর্তি করান। বর্তমানে তারা চিকিৎসাধীনে রয়েছে। অপরদিকে সিএনজি চালকরা তাদের গাড়ি নিয়ে রৌমারী স্টেশন ছেড়ে পালিয়ে যায়।
বাংলাদেশ অটোবাইক শ্রমিক কল্যাণ সোসাইটি সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রবিউল ইসলাম বলেন, আমরা ৩টি গাড়িতে ২১ জন যাত্রী নিয়ে জামালপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দিলে পথিমধ্যে সিএনজি চালকরা আমাদেরকে বাধা দেয়।
এনিয়ে কথাকাটাকাটির একপর্যায় তারা আমাদের তিনজনকে মারপিট করে যাত্রীদের গাড়ি থেকে নামিয়ে তাদের সিএনজিতে করে নিয়ে যায়। আমাদের এদিকে ভাড়ও দেয়নি। আমরা প্রশাসনের কাছে এর সুষ্ঠ বিচার চাই।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।