সেবা ডেস্ক: কুমিল্লা নগরীর অশোকতলায় সাবেক কাউন্সিলর মো. শাহ আলমের তিনতলা বাড়িতে বিক্ষুব্ধ জনতার আগুনে অন্তত ছয়জন নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
গতকাল সোমবার রাত ও আজ মঙ্গলবার সকালে বাড়িটি থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয়। এদের মধ্যে পাঁচজনই কিশোর।
নিহতরা হলো নগরীর অশোকতলা এলাকার আশিক (১৪), শাকিল (১৪), শাওন (১২), মাহফুজুর রহমান (২২), রনি (১৬) ও মহিন (১৭)। আজ বিভিন্ন সময় জানাজা শেষে তাদের দাফন করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল সোমবার আনুমানিক রাত ৮টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা অশোকতলায় কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর শাহ আলমের বাড়িতে হামলা চালায়। একপর্যায়ে কয়েকজন বাড়িটির তিনতলায় উঠে পড়েন। এ সময় অন্যরা বাড়িটির নিচতলায় আগুন লাগিয়ে দেয়। পরে তিনতলায় অবস্থানকারীরা ধোঁয়ায় শ্বাস বন্ধ এবং আগুনে পুড়ে নিহত হয়। এ ঘটনায় আহত হয়েছে অন্তত ১০ জন। এদের মধ্যে গুরুতর আহত একজন আইসিইউতে চিকিৎসাধীন।
কুমিল্লায় আরও দুজন নিহত
এদিকে গতকাল বিকেলে কুমিল্লা নগরীর তালপুকুরপাড় এলাকায় নাফিজুল আলম সামি (১৮) ও চৌদ্দগ্রামে জামশেদ (২০) নামের দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। ঘটনার সময় কুমিল্লা জেলা ক্রিকেট কমিটির সাবেক সভাপতি সাইফুল আলম রনির বাসায় ছিলেন নাফিজুল আলম। রনি অভিযোগ করেন, গতকাল বিকেলে একদল ব্যক্তি তার বাসায় হামলা চালায়। এ সময় সামিকে পিটিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে তারা। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা তাঁর বাড়িতেও লুটপাট করে।
কুমিল্লায় হামলা ও সংঘর্ষের পর গতকাল সোমবার বিকেল থেকে আজ মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ৭৫ জন চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৩৫ জন আজ সকাল পর্যন্ত ভর্তি ছিলেন। অন্যরা চিকিৎসা নিয়ে বাড়ি ফিরেছেন।
জেলার সার্বিক পরিস্থিতির বিষয়ে জানতে জেলা প্রশাসক খন্দকার মুশফিকুর রহমান ও পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলামকে মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলেও তাঁরা সাড়া দেননি।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।