সেবা ডেস্ক: প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ মন্তব্য দুর্নীতির অবসান ঘটিয়ে দেশের নতুন যাত্রা শুরু করার ইঙ্গিত দেয়। প্রেস উইং থেকে এ নিয়ে বিভ্রান্তি নিরসনে ব্যাখ্যা দেওয়া হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন’ প্রসঙ্গে বিভ্রান্তি নিরসনে প্রেস উইংয়ের ব্যাখ্যা
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের ‘রিসেট বাটন’ মন্তব্য নিয়ে সৃষ্ট বিভ্রান্তি নিরসনে তার প্রেস উইং থেকে একটি বিবৃতি প্রকাশ করা হয়েছে। এতে স্পষ্ট করা হয়েছে যে, প্রধান উপদেষ্টার ‘রিসেট বাটন’ কথাটি দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি ও অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে দেশের নতুন করে যাত্রা শুরু করার জন্য বলা হয়েছিল। তিনি কখনো বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস মুছে ফেলার কথা বলেননি।
বিবৃতিতে কী বলা হয়েছে?
প্রেস উইংয়ের বিবৃতিতে উল্লেখ করা হয়, দুর্নীতিগ্রস্ত রাজনীতি বাংলাদেশের গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠানগুলোকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে এবং অর্থনীতিকে ধ্বংসের পথে নিয়ে গেছে। সেই সঙ্গে কোটি মানুষের ভোটাধিকার ও নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যে ‘রিসেট বাটন’ বলতে দুর্নীতির এই চক্র থেকে বেরিয়ে আসা এবং নতুনভাবে দেশকে এগিয়ে নেওয়ার কথা বোঝানো হয়েছে।
প্রেস উইং আরও উল্লেখ করে, রিসেট বাটন সাধারণত কোনো ডিভাইস নতুনভাবে চালু করতে ব্যবহার করা হয়, তবে এর হার্ডওয়্যার পরিবর্তন হয় না। মুক্তিযুদ্ধকে বাংলাদেশের হার্ডওয়্যার উল্লেখ করে বলা হয়, ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা যুদ্ধ বাংলাদেশের অস্তিত্বের মূল ভিত্তি, যা কখনো মুছে ফেলা সম্ভব নয়।
প্রেক্ষাপট
অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ৮ আগস্ট ঢাকায় এসে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া বক্তব্যে বলেন, দেশের বর্তমান রাজনৈতিক সংকট থেকে বেরিয়ে এসে নতুন যাত্রা শুরু করতে হবে। তিনি বলেন, ‘জুলাই-আগস্ট অভ্যুত্থান আমাদের দ্বিতীয় স্বাধীনতা’। প্রথম স্বাধীনতা ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে অর্জিত হয়, যা দেশের গৌরবময় ইতিহাসের অংশ।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে অধ্যাপক ইউনূস মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মিডল টেনেসি স্টেট ইউনিভার্সিটিতে সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। তিনি সেই সময় মার্কিন সরকারকে বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্য সক্রিয় প্রচারণা শুরু করেন এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে মার্কিন জনমত গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।