সেবা ডেস্ক: ইসরায়েলের হামলায় ইরান তীব্র প্রতিক্রিয়ার ঘোষণা করেছে, সামরিক উত্তেজনা বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যে।
![]() |
ইসরায়েলি হামলায় ইরানের প্রতিক্রিয়া: প্রতিশোধে প্রস্তুত তেহরান |
শনিবার ভোরে ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী ইরানের সামরিক স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে, যা আন্তর্জাতিক মহলে তীব্র উত্তেজনার সৃষ্টি করেছে। ইরান এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে পাল্টা আঘাতের প্রস্তুতি ঘোষণা করেছে। দেশটির সংবাদমাধ্যম তাসনিম নিউজকে এক সরকারী সূত্র জানায়, ইরান নিজস্ব সার্বভৌমত্ব রক্ষায় প্রস্তুত এবং যেকোনো আগ্রাসনের জবাব দেবে। সূত্রটি আরও জানায়, ইসরায়েল এ ধরণের আগ্রাসী পদক্ষেপের জন্য চরম প্রতিক্রিয়া পেতে প্রস্তুত থাকতে পারে।
ইরানের বিমান বাহিনী এই হামলার সত্যতা নিশ্চিত করে জানায় যে, তেহরান, খুজেস্তান ও ইলাম প্রদেশে ইসরায়েল সুনির্দিষ্ট স্থাপনা লক্ষ্য করে আক্রমণ চালায়। তবে ইরান তাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সক্রিয় রেখে এই হামলাগুলো প্রতিহত করেছে এবং সামান্য ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া গেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী দাবি করেছে, এই হামলায় ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র উৎপাদন কেন্দ্রগুলো টার্গেট করা হয়েছে।
গত ১ অক্টোবর হামাস নেতা ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহ প্রধান হাসান নাসরুল্লাহকে হত্যার প্রতিক্রিয়ায় ইরান ইসরায়েলকে লক্ষ্য করে প্রায় দুই শতাধিক ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষেপ করেছিল। এই হামলার প্রতিক্রিয়ায় তেল আবিব বেশ কিছুদিন ধরে প্রতিশোধমূলক আক্রমণের পরিকল্পনা করছিল। তবে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইরানের তেল ও পারমাণবিক স্থাপনাগুলোতে আক্রমণের বিষয়ে সমর্থন না দেওয়ার কারণে ইসরায়েল সীমিত আকারে আক্রমণ পরিচালনা করে।
এই হামলার পরবর্তী প্রতিক্রিয়ায়, যুক্তরাষ্ট্রসহ আন্তর্জাতিক শক্তিগুলো উভয় পক্ষকে সংযম প্রদর্শনের আহ্বান জানিয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে এই তীব্র উত্তেজনা আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি হিসেবে দেখা দিয়েছে। ইসরায়েল এবং ইরানের মধ্যে সামরিক সংঘাতের ফলে, বিশেষ করে তেল ও গ্যাস সরবরাহ এবং জ্বালানি বাজারে প্রভাব বিস্তারের সম্ভাবনা রয়েছে, যা বৈশ্বিক অর্থনীতিতে প্রভাব ফেলতে পারে।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।