সেবা ডেস্ক: বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তৃণমূল নেতাদের কাছে পাঠানো চিঠি দলটির শরিকদের মধ্যে উদ্বেগ সৃষ্টি করেছে।
বিএনপির যে চিঠিতে তৃণমূল ও শরিকদের মধ্যে বইছে ঝড় |
বাংলাদেশের জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটি থেকে তৃণমূল নেতাদের কাছে পাঠানো একটি চিঠি ব্যাপক আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। এই চিঠির মাধ্যমে উদ্বেগ ছড়িয়েছে দলের যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর মধ্যেও। জানা গেছে, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ওই চিঠি পাঠানোর নির্দেশনা দেন। চিঠিটি পাঠানোর কারণে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর প্রশ্নের মুখোমুখি হচ্ছেন।
প্রায় দুই সপ্তাহ আগে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে শরিক দলের প্রধানদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। সেখানে ছিলেন ড. কর্নেল (অব.) অলি আহমেদ, মাহমুদুর রহমান মান্না, নুরুল হক, জোনায়েদ সাকী, সাইফুল ইসলাম, মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, খন্দকার লুৎফর রহমান, শাহাদাৎ হোসেন সেলিম এবং আরও অনেকে।
এ বৈঠকে বেশ কয়েকজন অভিযোগ করেন, বিএনপির সহযোগিতা না পাওয়ায় তাদের মাঠে কার্যক্রম চালাতে সমস্যা হচ্ছে। তারা মনে করছেন, এতে করে দূরত্ব বাড়ছে এবং ভবিষ্যতের নির্বাচনে এর প্রভাব পড়তে পারে।
তারেক রহমান বিষয়টি আমলে নিয়ে শরিকদের সহায়তা দেওয়ার জন্য দলের নেতাদের নির্দেশনা দেন। এর পর ২২ অক্টোবর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী তৃণমূল নেতাদের উদ্দেশ্যে একটি চিঠি পাঠান, যাতে বলা হয় গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কাজে সার্বিক সহযোগিতা করতে হবে।
তবে এই চিঠি কেবল পটুয়াখালী-৩ (গলাচিপা-দশমিনা) সংসদীয় আসনে গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক কাজে সুবিধা দেওয়ার জন্য পাঠানো হয়। চিঠিটি জেলা পর্যায়ের নেতাদের হাতে পৌঁছানোর পর থেকেই বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। স্থানীয় নেতারা চিঠিটিকে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের একটি অগ্রিম বার্তা হিসেবে ভাবছেন।
অন্যদিকে, শরিক দলের নেতা যারা এই চিঠি পাননি, তারা ড. ফরহাদের নেতৃত্বে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে গুলশানে দেখা করেন। তাদের প্রশ্ন ছিল, কেন বিশেষ দল বা ব্যক্তির জন্য এই চিঠি পাঠানো হয়েছে। মহাসচিব তাদের শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়ে জানান, ভিন্ন একটি চিঠি তাদের জন্যও পাঠানো হবে।
২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় নির্বাচনে পটুয়াখালী-৩ আসন থেকে প্রার্থী ছিলেন বিএনপিতে যোগদানকারী সাবেক এমপি গোলাম মওলা রনি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "আমি এখন দলের কোনো পদে নেই, যারা পদে আছেন, তারা ভালো বলতে পারবেন। আমি চিঠি সম্পর্কে কিছু জানি না, আপনার কাছ থেকেই জানলাম।"
এদিকে, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশী কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মো. হাসান মামুন বলেন, "নির্বাচনের আগে সাধারণত কিছু রাজনৈতিক কার্ড খেলা হয়, এটি তারই অংশ। সময় বলবে যে আসলে সিদ্ধান্ত কী হয়।"
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।