এ এস এম আব্দুল হালিমের ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থের একটি পর্যালোচনা

Seba Hot News : সেবা হট নিউজ
0

শাহ্ মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান: সাহিত্যের একটি ধ্রুপদী মাধ্যম কবিতা। অ্যারিস্টেটল কবিতাকে সমাজ বদলের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বিবেচনা করেছেন। মানুষের জীবনে কবিতার ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। কবিতার ছন্দ একদিকে যেমন মানব হৃদয়ে দোলা দেয়, অন্যদিকে জীবনবোধের উপলব্ধি জাগায়। সামাজিক মূল্যবোধ জাগাতে কবিরা সর্বজনীন ভূমিকা রাখেন। কবির কল্পনা মানুষকে অনুপ্রাণিত করে, সমাজ চেতনা জাগ্রত করে। 

এ এস এম আব্দুল হালিমের ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থের একটি পর্যালোচনা


কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের (জন্ম. ১লা জানুয়ারি ১৯৪৮) সঙ্গে আমার দীর্ঘদিনের পরিচয়। তবে তার নাম ও কবিতার সঙ্গে পরিচয় হয়েছিল অনেকটা আকস্মিকভাবেই। 

২০০৩ সালে সরকারি আশেক মাহমুদ কলেজে এইচএসসি অধ্যয়নরত কালে সে বছর ডিসেম্বরে জামালপুর জেলার রজতজয়ন্তীর উৎসবে প্রকাশিত স্মরণিকায় তার লেখা ‘সৃষ্টি সুখ’ নামে একটি কবিতার মধ্য দিয়ে। 

কবি এ এস এম আব্দুল হালিম তখন সম্ভবত কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব পদে চাকরি করেন। তার ‘সৃষ্টি সুখ’ নামের দীর্ঘ কবিতার অংশবিশেষ নিম্নরূপ :

জেগে আছি এখনো
 একটি ভাবের জন্য 
জেগে আছি এখনো 
একটি ছন্দের জন্য 
জেগে আছি এখনো 
একটি কবিতার জন্য। 

[রজতজয়ন্তী : জামালপুর জেলার স্মরণিকা (২০০৩), ‘জেগে আছি’, পৃ. ৫৩]

এরপর উচ্চশিক্ষা গ্রহণের জন্য ঢাকায় আসি। ঢাকার বাইরে যাওয়ার ইচ্ছা না থাকায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প নম্বরের জন্য ভর্তির সুযোগ না পেয়ে আমি ঢাকা কলেজে পড়ার সিদ্ধান্ত নিই। 

২০০৯ সালের দিকে আমি মাস্টার্সে পড়ি। তখন কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের সঙ্গে আবার যোগাযোগ স্থাপিত হয়। ফোনে কথা বলে জানতে পারি, তিনি ঢাকার মতিঝিলে একটি ইন্সুরেন্সে উপদেষ্টার দায়িত্বে নিয়োজিত আছেন। 

আমি ঐ অফিসে কয়েকবার তার সঙ্গে দেখা সাক্ষাৎ করতে গিয়েছি, মাঝে মাঝে ফোনে কথা বলতাম। সেই থেকে আজও কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের সঙ্গে আন্তরিক পরিচয় অক্ষুন্ন রয়েছে। এই তো কিছুদিন আগে কবি হাসান হাফিজুর রহমানের জন্মদিন স্মরণে অনুষ্ঠানে একই মঞ্চে বক্তৃতাও করেছি।


কবি এ এস এম আব্দুল হালিম আমলা হলেও চলনে বলনে ব্যবহারে অনন্য। একজন ব্যক্তিত্ববান মানুষ। অতি সাধারণ বাচ্ন ভঙ্গি, নম্র, বিনয়ী, helpful, বন্ধুবৎসল-সব মিলিয়ে তিনি চমৎকার একজন মানুষ। তিনি সবকিছুতেই খুবই আশাবাদী। তিনি লেখালেখির ভুবনে রয়েছেন কিশোর বয়স থেকেই। তিনি বেশ প্রস্তুতি নিয়েই লেখালেখি শুরু করেছেন। 

কিশোর বয়সের লেখা কবিতাগুলো সংরক্ষণ করেননি, গ্রন্থ প্রকাশ করেননি তিনি। এ কারণে তার লেখক সত্তা পরিচয় ততোটা প্রচার পাইনি, যতটা পরিচিতি সুনামধারী সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে। 

কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের প্রকাশিত গ্রন্থসমূহের মধ্যে ‘মোনালিসা, ‘যন্ত্রণা’, ‘শিশির বিন্দু’, ‘প্রেমসুধা’, ‘একটি ভালো মেয়ে’, ‘চিত্রাঙ্গদা ও আমি’, ‘কবিতা সংগ্রহ’, ‘Selected Poems’, `বিহঙ্গ কথা’, ‘নারী নানা বর্ণা’ ও ‘We Revolt’ উল্লেখ্যযোগ্য।


আলোচ্য `বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থে তিনি তার দর্শন, স্বপ্ন, প্রকৃতি, প্রেম, আরাধনা ও জীবনাচরণের কথা তুলে ধরেছেন। একজন কবির দেশের প্রতি সমাজের প্রতি দায় রয়েছে। এ জন্যই বলা হয় কবিতার ভাষা বিশ্বজনীন। কবিরা দেশকে পাহারা দেন। 

কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের কবিতা পাঠ করে বিস্তৃত ও ক্ষুদ্র পরিসর এ দুটি সুর লক্ষ্য করা যায়। বিস্তৃত পরিসর বলতে গেলে মা-মাটি ও মানুষের প্রতি ভালোবাসা এবং ক্ষুদ্র পরিসরে নিজ এলাকার প্রতি ভালোবাসা, নিজ জেলার প্রতি ভালোবাসা, ইসলামপুরের নিজ গ্রাম বলিয়াদহের প্রতি ভালোবাসা। জন্মভূমির শিকড় তাকে খুব টানে, শৈশব-কৈশোরের নস্টালজিকতার চিত্র তার কবিতায় স্পষ্ট হয়ে উঠেছে।


২০২৫ সালের প্রকাশিত ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থভুক্ত একাশিটি কবিতায় মোটাদাগে প্রেম, প্রকৃতি ও প্রার্থনা এই তিনটি প্রত্যয়ের অভিব্যক্তি ব্যাপক লক্ষ্য করা যায়। এসব কবিতায় মানবিক মর্যাদার দর্শনের সুস্পষ্টের ছাপ রয়েছে। যে দর্শন তিনি আশৈশব লালন করে এসেছেন, বিশ্বাস করে এসেছেন। 

এই দর্শন সকলের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়া গেলে মানবিক মর্যাদা ফিরে আসবে, বৈষম্য বিলোপন হবে বলে তিনি বিশ্বাস করেন। মোট কথা,‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থে প্রকারান্তরে নিজের দর্শনের কথাই ব্যক্ত করেছেন তিনি।


তার বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থের অধিকাংশ কবিতায় শৈশব-কৈশোরের নস্টালজিকতা লক্ষ্য করা যায়। বিশেষত তার কবিতার বিরহতাপিত হৃদয়ের আর্তসুর শোনা যায়। এ প্রসঙ্গে কাব্যগ্রন্থভুক্ত কয়েকটি কবিতাটির শব্দ চয়ন ও ভাষা লক্ষ্য করা যাক :

একি হাসি হাসিলে তুমি নন্দিতা? 
তুমি কি জানতে চাও তব বয়সের ইতিহাস?
তব যৌবন সুবর্ণ-সুভাস?
কোমল দেহের সরস নির্যাস? 

[বিহঙ্গ কথা (২০২৫), ‘নন্দিতা : রহস্যময়ী’, পৃ. ১৩]


তোমার অজানা নাই কিছু-
এই পথে আসি রোজ, ঘনছায়া, বৃক্ষ-তরু চিনি আমি 
চিনি সবই আদি-অন্ত-বটবৃক্ষ, আম্রকুঞ্জ, বাঁশ বাগান, পুষ্পবৃন্ত।
 
এ বাড়ি-ওবাড়ি, উঠান-জলাধার-কাচারি 
তুমি কোথা বাস করো, তা-ও আমি জানি। 
তোমারেই দেখিতে আমি, এ পাড়াতে আসি 
পড়ন্ত বেলায়, জলঘাটে কাহার সনে তুমি করো হাসাহাসি।

[বিহঙ্গ কথা (২০২৫), ‘তোমার অজানা নাই কিছু’, পৃ. ৪২] 


কবিতা দুটির ইমেজ চিরদিন মনে রাখার মতো। নারীর চিরন্তন সৌন্দর্য এ কবিতা পাঠে ভাবনার জগতে জায়গা করে নিয়েছে। মা-মাটি-মানুষের কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের কবিতায় আবহমান বাংলাদেশের প্রকৃতি পরিবেশ-প্রতিবেশকে খুঁজে পাওয়া যায়। তার লেখার শৈলী অত্যন্ত সহজ সরল। 

এ প্রসঙ্গে কাব্যগ্রন্থভুক্ত ‘একদিন গিয়েছিল গান’ কবিতায় ভাষা ও শব্দচয়ন লক্ষ্য করা যাক :

একদিন, বহুদিন হয়েছে গত
কতশত স্মৃতিবিজড়িত এ পথে হাঁটিয়াছি কত।
এই সমতল ভূমে, এই শস্যক্ষেত্রে ধবল ধবলীর হাম্বাধ্বনি
শ্রবণ করিয়াছি অবিরত!
পক্কশস্যকর্তন কৃষক-কৃষাণীর অপূর্ব-অনুপম শৈল্পিক নিদর্শন
কর্তন মৌসুম, আনন্দ কেতন!

[বিহঙ্গ কথা (২০২৫), ‘একদিন গেয়েছিল গান’, পৃ. ৫৬]


এই কবিতায় কবি শৈশব-কৈশোর-যৌবনের স্মৃতি রোমন্থন করেছেন। একজন মানুষের নস্টালজিকতা না থাকলে সে হৃদয়বান মানুষ হতে পারে না। কবিতাটিতে সুখস্মৃতির এমন সাবলীল অনুপ্রাস প্রকাশ যা মনোমুগ্ধকর এক আবেশ কল্পনায় ভেসে ওঠে। এ রকম অনেক কবিতা কাব্যগ্রন্থভুক্ত কবিতাগুলোতে পাওয়া যায়।


গ্রন্থের নাম : বিহঙ্গ কথা, লেখক : এ এস এম আব্দুল হালিম, প্রচ্ছদ : ফারাহ আফজা বিনতে হালিম, জিনিয়াস পাবলিকেশন্স, ঢাকা, প্রকাশকাল : বাংলা একাডেমি অমর একুশে বইমেলা ২০২৫, পৃষ্ঠা ১১৯, দাম : ৩০০ টাকা, ISBN : 978-984-99836-4-4


এ এস এম আব্দুল হালিমের ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থের একটি পর্যালোচনা
এ এস এম আব্দুল হালিম ও কাব্যগ্রন্থ ‘বিহঙ্গ কথা’


কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের প্রধান পরিচয় প্রশাসনের অত্যন্ত সুনামধারী সাবেক কর্মকর্তা হিসেবে। তিনি ১৯৪৮ সালের ১লা জানুয়ারি জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার বলিয়াদহ গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতার নাম মো. নূরুল হুদা ও মাতার নাম হামিদা খাতুন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাণিজ্য অনুষদ থেকে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর এবং ইংল্যান্ডের বার্মিংহাম ইউনিভার্সিটি থেকে ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজে উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেন।


পরবর্তীকালে বিচিত্র-বর্ণিল-বর্ণাঢ্য পেশাগত জীবনে সাবেক ইস্ট পাকিস্তান সিভিল সার্ভিসের (ইপিসিএস) প্রশাসন ক্যাডারের সদস্য হিসেবে তিনি মাঠ পর্যায়ে সহকারী কমিশনার, থানা/উপজেলা নির্বাহী অফিসার, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, মহকুমা ও জেলা প্রশাসক, বিভাগীয় কমিশনার, সচিবালয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের উপসচিব, যুগ্মসচিব, অতিরিক্ত সচিব, সচিব এবং জীবন বীমা কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান, নন ফরমাল এডুকেশনেরর মহাপরিচালক, সমবায় সমিতির রেজিস্ট্রার, তদানীন্তন দুর্নীতি দমন ব্যুরোর (বর্তমানে দুর্নীতি দমন কমিশন) পরিচালক, বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের পরিচালক, সাধারণ বীমা কর্পোরেশন ও যমুনা ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক এবং ঢাকা ইনস্যুরেন্স লিমিটেডের উপদেষ্টাসহ বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি দফতরে কর্মজীবন অতিবাহিত করেন। 


উল্লেখ্য, কবি এ এস এম আব্দুল হালিম ২০০৫ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত সরকারি কর্মচারীদের মধ্যে সর্বোচ্চতম পদ মন্ত্রিপরিষদ সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি ছিলেন দেশের ১৬তম মন্ত্রিপরিষদ সচিব। তিনি সরকারি ও বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ এসব পদে দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রের গঠনমূলক কাজে প্রশাসন, আইন, নীতি, কৌশল ও উন্নয়ন প্রকল্প প্রণয়ন, বাস্তবায়ন ও পরিবীক্ষণে ব্যাপক অবদান রেখেছেন এবং অদ্যবধি রেখে চলছেন। বর্ণাঢ্য চাকরি জীবনে আব্দুল হালিম জেনেভা কনভেনশনে যোগদানসহ বিভিন্ন শিক্ষা ও সরকারি সফরে নেতৃত্ব প্রদানে এশিয়া এবং ইউরোপের অধিকাংশ দেশ এবং আমেরিকা ভ্রমণ করেছেন।


কবি এ এস এম আব্দুল হালিম ৯ই সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখ থেকে বাংলাদেশ হাউজ বিল্ডিং ফাইনান্স কর্পোরেশনের (বিএইচবিএফসি) পরিচালনা পর্ষদের পরিচালক ও চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। 


কবি এ এস এম আব্দুল হালিম তার ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থভুক্ত কবিতাসমূহে মানবজীবনের বিহঙ্গ-স্বভাব ও হৃদয়মথিত অব্যক্ত কথাগুলোকে শৈল্পিক বাণী রূপ দিয়েছেন। এ কথা বার বার উচ্চারিত হয় যে, একজন কবির জীবনানুভূতি ও জীবনদর্শনই কবিতার উৎস। ইংরেজিতে একটি কথা আছে He who touches a book, touches a man. ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থের কবিতাসমূহে প্রকৃতি, প্রেম ও প্রার্থনা প্রভৃতি প্রত্যয় ভাবনার আনাগোনা ব্যাপক। সঙ্গত কারণে কাব্যগ্রন্থটির প্রচ্ছদ পটে লেখা আছে ‘বেদনাবিদ্ধ হৃদয়ই কবিতার জন্মভূমি’-এ কথাটির সঙ্গে পাঠক মাত্রই এক মত হবেন। 

এ গ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত ৮১টি কবিতায় অনুপ্রাস, উপমার নানা অনুষঙ্গে বিবৃত হয়েছে গ্রাম-বাংলার সহজ সরল কথামালা, প্রাত্যহিক জীবনের প্রসঙ্গ, প্রকৃতি, প্রেম, পারিবারিক প্রসঙ্গ, গ্রাম্যজীবন ইত্যাদি। 

বিষয়গুলো সহজ-সরল হলেও দার্শনিকতা ও প্রজ্ঞায় সমৃদ্ধ। আমরা মনে করি, এ কাব্যগ্রন্থভুক্ত কবিতার ভাষা, চিত্রকল্প শৈলী ও বক্তব্যের প্রাসঙ্গিকতা অনেক দিন থাকবে। 

কবি এ এস এম আব্দুল হালিমের ‘বিহঙ্গ কথা’ কাব্যগ্রন্থটি বাংলা ভাষায় আধুনিক কবিতাচর্চার ক্ষেত্রে একটি উল্লেখযোগ্য সংযোজন বলে বিবেচিত হবে। তার প্রতি আমাদের অনেক ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা রইল।


লেখক : প্রাবন্ধিক ও গবেষক। অফিসার, বাংলা একাডেমি





সূত্র: /সেবা হট নিউজ: সত্য প্রকাশ্যে আপোষহীন

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

0 মন্তব্যসমূহ

খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top