সেবা ডেস্ক: আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সম্পূর্ণ প্রস্তুত রয়েছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা অনুযায়ী সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সাথে দায়িত্ব পালনের জন্য সেনাবাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন সেনাসদরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।
![]() |
| জাতীয় নির্বাচন নিয়ে প্রস্তুতি রয়েছে সেনাবাহিনীর |
সোমবার ঢাকা সেনানিবাসের অফিসার্স মেসে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়।
জাতীয় নির্বাচন: সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি
সেনাসদরের মিলিটারি অপারেশনস পরিদপ্তরের কর্নেল স্টাফ কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর একটি পূর্ণাঙ্গ প্রস্তুতি রয়েছে। তবে এখন পর্যন্ত নির্বাচন কমিশন থেকে কোনো আনুষ্ঠানিক নির্দেশনা পাওয়া যায়নি। নির্দেশনা পেলেই সে অনুযায়ী পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করা হবে। তিনি বলেন, ‘আমরা চাই একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। সে লক্ষ্যে সেনাবাহিনী সর্বোচ্চ দায়িত্ব পালনে প্রস্তুত।’
আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ও অস্ত্র উদ্ধার
জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে বিভিন্ন বাহিনী বিশেষ অভিযান পরিচালনা করছে। কর্নেল শফিকুল ইসলাম জানান, হারিয়ে যাওয়া অস্ত্রের ৮০ শতাংশ ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে। বাকি ২০ শতাংশ অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এসব পদক্ষেপ একটি শান্তিপূর্ণ ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
ডাকসু নির্বাচন ও প্রোপাগান্ডা
সংবাদ সম্মেলনে ডাকসু নির্বাচন প্রসঙ্গে কর্নেল শফিকুল ইসলাম বলেন, সেনাবাহিনীর ডাকসু নির্বাচনের সাথে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। তবে কিছু স্বার্থান্বেষী মহল বিভিন্ন মাধ্যমে ভুল তথ্য ও প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে। তিনি বলেন, ‘এসব প্রোপাগান্ডার মাধ্যমে কোনো লাভ হবে না। আমরা আগেও স্পষ্ট করেছি, ডাকসু নির্বাচনে সেনাবাহিনীর কোনো ভূমিকা নেই।’
রাজনৈতিক কর্মসূচি নিয়ে সতর্কতা
জাতীয় নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর কর্মসূচি নিয়েও কথা বলেন এই সেনা কর্মকর্তা। তিনি বলেন, কোনো দল যদি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ঝটিকা মিছিল বা কর্মসূচি পালন করে, তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তা খতিয়ে দেখবে এবং প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে। তিনি সব দলকে নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলার আহ্বান জানান।
জাতীয় নির্বাচন: সেনাবাহিনীর দৃঢ় অঙ্গীকার
কর্নেল মো. শফিকুল ইসলাম আরও জানান, জাতীয় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সেনাবাহিনী সব ধরনের সহযোগিতা করবে। নির্বাচন কমিশনের নির্দেশনা পেলেই সেনাবাহিনীর সদস্যরা মাঠে নামবে। তিনি বলেন, ‘আমরা নিরপেক্ষভাবে দায়িত্ব পালন করব। দেশের মানুষ যাতে ভোট দিতে পারে এবং তাদের ভোটাধিকার নিশ্চিত হয়, সে লক্ষ্যে আমরা কাজ করব।’
আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে সেনাবাহিনীর এই প্রস্তুতি দেশের গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিতে সহায়ক হবে। আশা করা যায়, সব দল ও মহল নির্বাচনী আচরণবিধি মেনে চলবে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।


খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।