ঢাকা, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৫: বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) আজ ১ সেপ্টেম্বর তাদের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে।
![]() |
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার ও জনগণের অধিকার রক্ষাই মূল লক্ষ্য |
১৯৭৮ সালের এই দিনে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, যার লক্ষ্য ছিল দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব এবং জনগণের অধিকার রক্ষা করা।
দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশজুড়ে ৭ দিনব্যাপী নানা কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল বার্তা: জনগণের অধিকার পুনরুদ্ধার
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান এক বাণীতে নেতাকর্মী ও দেশবাসীকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, “জনগণের অধিকার আদায়ে তাদের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করা এবং দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও বহুদলীয় গণতন্ত্রের ধারা পুনরায় প্রতিষ্ঠা করাই এখন বিএনপির মূল লক্ষ্য।”
তারেক রহমান আরও উল্লেখ করেন যে, জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে বিএনপি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল জাতীয়তাবাদী আদর্শের ভিত্তিতে, যা বাংলাদেশি ভূখণ্ডের সার্বভৌমত্ব রক্ষা এবং বহুদলীয় গণতন্ত্রকে স্থায়ী রূপ দেওয়ার নীতিতে অঙ্গীকারবদ্ধ।
৭ দিনব্যাপী কর্মসূচির বিস্তারিত
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালনের জন্য বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানের আহ্বায়কত্বে এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভীর সদস্য সচিব হিসেবে ১৬ সদস্যের ‘জাতীয় উদ্যাপন’ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির তত্ত্বাবধানে ৭ দিনব্যাপী কর্মসূচি পালিত হচ্ছে:
১ সেপ্টেম্বর (আজ): প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর প্রধান দিনে সকাল ৬টায় নয়াপল্টনস্থ কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ দেশব্যাপী সকল দলীয় কার্যালয়ে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে।
সকাল ১১টায় মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান (বীর উত্তম)-এর মাজারে বিএনপি মহাসচিবসহ জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য, অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের নেতাকর্মীরা ফাতেহা পাঠ ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
এছাড়াও, সারা দেশে জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
৩১ আগস্ট (গতকাল): রাজধানীর রমনাস্থ ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য নিয়ে একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
২ সেপ্টেম্বর: কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি বের করা হবে, যা দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর মূল আকর্ষণ।
৩ সেপ্টেম্বর: উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও বর্ণাঢ্য র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে পত্রিকায় বিশেষ ক্রোড়পত্র প্রকাশ করা হয়েছে এবং পোস্টারও প্রকাশ করা হয়েছে।
এছাড়া, সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
সুবিধাজনক সময়ে ঢাকাসহ দেশব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপণ অভিযান, মৎস্য অবমুক্তকরণ, ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প এবং ক্রীড়া অনুষ্ঠান আয়োজন করা হবে।
আরও পড়ুন:
বিএনপির ৪৭ বছরের পথচলা: এক নজরে
১৯৭৮ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রতিষ্ঠার পর থেকে বিএনপি বাংলাদেশের রাজনীতিতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বাধীন দলটি দেশের অর্থনীতি, সামাজিক উন্নয়ন এবং বহুদলীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় কাজ করেছে।
দলটির দীর্ঘ ৪৭ বছরের ইতিহাসে বহু আন্দোলন, সংগ্রাম ও সাফল্যের গল্প জড়িত। জনগণের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার অঙ্গীকার নিয়েই দলটি এখনো কাজ করে যাচ্ছে।
এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী শুধুমাত্র একটি ঐতিহাসিক দিন নয়, বরং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং জনগণের অধিকার আদায়ে বিএনপির চলমান আন্দোলনের একটি নতুন প্রেরণা।
খবর/তথ্যের বিষয়বস্তুর সঙ্গে মিল আছে এবং আপত্তিজনক নয়- এমন মন্তব্যই প্রদর্শিত হবে। মন্তব্যগুলো পাঠকের নিজস্ব মতামত, সেবা হট নিউজ এর দায়ভার কখনই নেবে না।