কাল মিলতে পারে রোদের দেখা

S M Ashraful Azom
দেশব্যাপী মাঝারি ধরনের ভারি থেকে অতিভারি বর্ষণে জনজীবন বিপর্যন্ত হয়ে পড়েছে। রাজধানী ঢাকায় অবিরাম বর্ষণে অনেক এলাকায় রাস্তায় পানি জমে গেছে। যানবাহন চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। যানবাহন চলাচলে দেখা দিয়েছে অনেকটা স্থবিরতা।
 
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় এবং উত্তর-বঙ্গোপসাগরে অতিপ্রবল অবস্থায় রয়েছে। বাংলাদেশ ও তৎসংলগ্ন এলাকায় লঘুচাপ অবস্থান করছে।
 
আবহাওয়া অধিদফতর আরও জানায়, আজ সন্ধ্যার পর থেকে বৃষ্টি কমে যাবে। আগামীকাল রোববার কোথাও কোথাও রোদ উঠতে পারে।
 
শনিবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর ১২টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৫ মিমি, টেকনাফে ২১৩ মিমি, কক্সবাজারে ২১ মিমি, চট্টগ্রামে ১১ মিমি, ভোলায় ২১ মিমি এবং সিলেটে ৭ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। দেশের বিভিন্ন এলাকায় বৃষ্টি অব্যাহত রয়েছে। বৃষ্টির ফলে দেশের নদ-নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।
 
গত ২ দিনের বৃষ্টিতে রাজধানীর মতিঝিল, ফকিরাপুল, মতিঝিল সরকারি বালক উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে, রাজারবাগ, শান্তিনগর, রামপুরা, মিরপুর ১০ নম্বর গোলচত্বর, রূপনগর, শ্যাওড়াপাড়া, কাজীপাড়া, মালিবাগ, মৌচাক, তালতলা, খামারবাড়ী ও খিলগাঁওসহ বিভিন্ন এলাকার রাস্তায় পানি জমে যায়। 
 
বিমানবন্দরের কাছে নিকুঞ্জ-২ আবাসিক এলাকার অনেক রাস্তা হাঁটুপানির নিচে চলে গেছে।
 
বর্ষণের ফলে যাত্রীরা তাদের গন্তব্যে সময়মতো পৌঁছতে পারছে না। পথের পিচ খুলে সৃষ্টি হয়েছে গর্ত। যানবাহনগুলো ধীরগতিতে চলছে। রিক্সাভাড়া বেড়েছে অবিশ্বাস্য হারে। অথচ সামনে ঈদ বলে মানুষের চলাচল বেড়েছে। দোকানপাটে অনেক ভিড়। রাস্তায় যানজট গেলে আছে। যানজট সামলাতে পুলিশকে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বাসে তিরিশ মিনিটের পথ যেতে দুইঘন্টা লাগছে।
 
মৌসুমী বায়ু বাংলাদেশের উপর সক্রিয় থাকায় চট্টগ্রাম বিভাগে প্রচুর বৃষ্টি হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, গতকাল শুক্রবার সকাল থেকে আজ সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘন্টায় চট্টগ্রামে ৬৭ মিমি, সন্দ্বীপে ৬১ মিমি, কক্সবাজারে ২৬৩ মিমি, কুতুবদিয়ায় ৯৪ মিমি, টেকনাফে ২৩২ মিমি ও সীতাকুন্ডে ৭৮ মিমি বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
 
আগামী ৭২ ঘণ্টার আবহাওয়ার অবস্থা সম্পর্কে বলা হয়, এ সময় বৃষ্টিপাতের প্রবণতা হ্রাস পেতে পারে।
ট্যাগস

#buttons=(Ok, Go it!) #days=(20)

Our website uses cookies to enhance your experience. Know about Cookies
Ok, Go it!
To Top