একসময় রোমান্টিক আধুনিক গানের জনপ্রিয় নাম ডলি সায়ন্তনী। অডিও বাজারের
অনেকগুলো ব্যবসাসফল অ্যালবাম উপহার দিয়েছেন তিনি। অডিও বাজারের অবস্থা
খারাপ হবার পর থেকেই আর নিয়মিত দেখা যায়নি তাকে। তবে শিগগিরই আবারও কাজে
ফিরছেন ডলি। নতুনভাবে ফিরে আসা, এখনকার মিউজিক ইন্ডাস্ট্রি ও নতুন
শিল্পীদের অবস্থান নিয়ে কথা বললেন বিনোদন প্রতিদিনের সাথে। সাক্ষাত্কার
নিয়েছেন মোস্তাফিজ মিঠু
এবার ঈদের ব্যস্ততা কী নিয়ে?
ঈদে দেশের বাইরের শো নিয়েই ব্যস্ত থাকবো। ঈদের পরপর কাতার যাবো শো করতে।
সেখান থেকে দুবাইতে একটি কনসার্টে অংশ নেবো। এরপর আমেরিকায় একটি শো করবো।
মূলত এগুলোই এবারের ব্যস্ততা।
দেশের বাইরে তো নিয়মিত শো করছেন। বাংলা গান নিয়ে প্রবাসীদের সাড়া কেমন পান?
অবশ্যই ভালো। বাংলা গান নিয়ে তাদের বরাবরই ইতিবাচক ধারণা। তরুণদের সাড়া সবচেয়ে বেশি। ভালো লাগে যে তারা দেশকে অনেক ভালোবাসেন।
অ্যালবামের কাজের কী অবস্থা?
এখন পর্যন্ত অ্যালবাম বের করার কোনো সিদ্ধান্ত নেইনি। তবে একটি সিঙ্গেল
গান রিলিজ করবো এবার। কলকাতায় গানটির জন্য বেশ কয়েকদিন থাকতে হয়েছে। গানটির
মিউজিক ভিডিও করবো। ভিডিওটির শুটিং করবো মুম্বাইতে। এখন সেগুলো নিয়েই কাজ
করছি। আর আমার একটি স্পন্সর আছে, তাদের সাথে চুক্তি ঠিক হলে হয়তো অ্যালবামও
করতে পারি।
মাঝে অনেকদিন বিরতিতে ছিলেন। কারণ কী?
প্রায় সাত বছর কোনো কাজ করিনি। কারণ অডিও বাজারের যা অবস্থা ছিল সেই
পরিস্থিতে কাজ করা সম্ভব ছিল না। এখন বিভিন্ন উপায়ে আবারও একটা ভালো সময়ে
এসেছে। আর আমি টাকা দিয়ে অ্যালবাম করবো এমনটা কখনোই ভাবতে পারিনি। এখন টাকা
হলেই গায়ক-গায়ীকা হওয়া যায়। আমি প্রডিউসার পেয়েছি তাই কাজ করছি।
টাকা দিয়ে গান বা অ্যালবাম করার এখন একটা ধারা শুরু হয়েছে। এই বিষয়ে কী বলবেন?
যে খুব দ্রুত আসতে চায় সে দ্রুতই চলে যায়। যারা পরিশ্রম করে তারা টিকে
যাচ্ছে। সময়ের অপেক্ষা এখন কেউ করছে না। রিয়্যালিটি শো দিয়েও দ্রুত অনেকে
পরিচিতি পেয়ে গেছেন। কিন্তু যারা পরিশ্রম করেননি তারা কিন্তু এখন আর নেই।
গাইতে পারলেই একজন শিল্পী হওয়া যায় না। তার লাইফস্টাইল, পরিশ্রম সবকিছু
মিলিয়ে একজন শিল্পী হয়।
রিয়্যালিটি শো শুরু হওয়া থেকে এখন পর্যন্ত অনেক শিল্পী এসেছেন। শেষ
পর্যন্ত অনেকেই হারিয়ে গেছেন। তাহলে রিয়্যালিটি শোগুলোর উদ্দেশ্য নিয়ে কী
বলবেন?
ব্যবসা ছাড়া তো আমার আর কিছুই মনে হয় না। এত শিল্পী আছেন কিন্তু তাদের
স্থায়িত্বটা কোথায়! প্লাটফর্মের পরও তাদের একটা গাইডেন্স প্রয়োজন। সেখানে
অভাব রয়েছে। প্রথম দিকের অনেকে এখনও কাজ করছেন। এটা তাদের পরিশ্রমের জন্যই।
প্লেব্যাকে কাজের কী অবস্থা?
আমার সিঙ্গেল গানটির জন্য কলকাতায় অনেকদিন ব্যস্ত ছিলাম। তাই প্লেব্যাকেও
সেভাবে কাজ করতে পারিনি। কলকাতায় যাবার আগে একটি ছবিতে গান করেছি। এখন
পর্যন্ত আর কাজ নিচ্ছি না। নতুন গানটি রিলিজের পর দেখা যাবে।